ইফতারিতে মিষ্টান্নের স্বাদ রোজাদারদের দেয় তৃপ্তি

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ সারাদিনের রোজার শেষে ইফতারিতে এক টুকরো জিলাপি, ফিরনি, দই কিংবা রসগোল্লার স্বাদে তৃপ্ত হন রোজাদাররা। ইফতারে আরেকটি জনপ্রিয় মিষ্টান্ন বুন্দিয়া। রসে টইটম্বুর ছোট ছোট গোলাকৃতির এই মিষ্টি অনেকে মুড়ি সাথে মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। ভাজা পোড়ার সাথে মিশিয়ে খাওয়ার রেওয়াজও আছে কোথাও কোথাও।

যশোরের ইফতারির বাজারে ছোলা-পেঁয়াজু, বেগুনি, ফ্লুরির মত ঝাল জাতীয় ভাজাভুজির পাশাপাশি মিষ্টি খাবারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিন ইফতার আয়োজনে নানা ঝাল পদের পাশাপাশি মিষ্টি জাতীয় খাবারের পসরা দেখা যাচ্ছে শহরের হোটেল রেস্টুরেন্টে গুলোতে। বিশেষ করে ফিরনি, টক, মিষ্টি দই, শাহী ও রেশমি জিলাপি, বুন্দিয়া, রসগোল্লা, কাপ দই ইফতারের পসরা দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টের ইফতারির প্যাকেজে মিষ্টান্নের একটি পদ রাখা হয়েছে।

শনিবার শহরের ক্যাফে প্রেসক্লাবে ইফতার কিনতে আসা স্কুল শিক্ষক হারুন অর রশিদ বলেন, ইফতারিতে যতই বাহারি পদের আয়োজন থাকুক না কেন খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু হয়। এরপর চলে ভাজা পোড়া আইটেম। শেষে মিষ্টি জাতীয় খাবার না হলে যেন তৃপ্তি আসে না। এজন্য প্রতিদিন ইফতারিতে দুই এক পদের মিষ্টি জাতীয় খাবার রাখি। কোন দিন চিড়ার সাথে দই অথবা রসগোল্লা, আবার কোনদিন ফিরনি কিংবা বুন্দিয়া।

ক্যাফে প্রেসক্লাব যশোরের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ইফতারিতে ভাজা পোড়ার পাশাপাশি মিষ্টি জাতীয় খাবারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিন ইফতারে টক মিষ্টি দইয়ের পাশাপাশি ফিরনি, শাহী ও রেশমি জিলাপি, বুন্দিয়া বিক্রি হয়। ভাজা পোড়া আইটেমের চেয়ে এই জাতীয় আইটেমের বেচা বিক্রি সন্তোষজনক। প্রতিদিন যা বানাচ্ছি তাই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, কোন মিষ্টি অতিরিক্ত থাকে না।

তিনি বলেন, মুলত রাত থেকে মিষ্টি বানানো কাজ শুরু হয়। দিনের বেলায় থেকে বিক্রি শুরু হয় এবং ইফতারের আগ মুহূর্তে বিক্রি হয়ে যায়।

অন্যান্য ঘোষ ডেয়ারির মালিক প্রবীর ঘোষ বলেন, বছর জুড়ে ৩০ পদের মিষ্টি বানাই। তবে রমজানে টক দই এবং মিষ্টি দইয়ের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। রোজাদারদের কাছে চিড়া দই খুবই পছন্দনীয় একটি খাবার। আবার অনেকের চিড়ার সাথে রসগোল্লাও বেশ পছন্দ।