মোহিত নাথের অবৈধ সম্পত্তি অনুসন্ধানের অপেক্ষায় দুদক

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করতে চায় দুদক যশোর সমন্বিত কার্যালয়। অনুসন্ধানের দাপ্তরিক অনুমোদন পেতে ঢাকায় আবেদন পাঠানো হয়েছে।

নিজে আওয়ামী লীগ নেতা আবার জামাতা পুলিশের ওসি(ওসি বিপ্লব) হওয়ায় ক্ষমতার দাপট একটু বেশিই দেখিয়েছেন মোহিত নাথ। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তার কাছে ছিল জিম্মি। ফ্যাসিস্ট আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এবং অসৎ উপায়ে তিনি বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে জানতে পেরেছে দুদক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ নানা কারণে আলোচিত। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের অনুসারী ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের গ্রুপে চলে যান।

তবে শাহীন চাকলাদারের সাথে তার বনিবনা না হওয়ায় ফের তিনি কাজী নাবিল আহমেদের গ্রুপে ফিরে আসেন। যশোর শহরের রেল রোডস্থ সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের সামনে দৃশ্যত তার একটি কম্পিউটারের ব্যবসার দোকান এবং মদের দোকান থাকলেও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরের শাসন আমলে তিনি নানা অসৎ উপায়ে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। বিভিন্ন সরকারি দফতরে টেন্ডারবাজি, তদবির বাণিজ্য এবং শালিসের নামে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

দুদকের একটি সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মোহিত কুমার নাথের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পায় দুদক। এ সংক্রান্ত একটি প্রাথমিক তালিকা দুদকের হাতে আছে। এর প্রেক্ষিতে তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানের জন্য অনুমতি চেয়ে ঢাকার প্রধান দফতরে চিঠি পাঠানো হয়। এখনো অনুমোদন যশোরে পৌছায়নি। তবে প্রধান দফতর থেকে অনুমতি পাওয়া গেলে মোহিত কুমার নাথের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চালানো হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথের মোবাইল ফোন নম্বরে কল দেওয়া হয়। কিন্তু নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।