আ.লীগ সরকারের দীর্ঘদিনের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে দেশকে পুনর্গঠন করতে চাই : তারেক রহমান

নড়াইলে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে

0

সুলতান মাহমুদ, নড়াইল ॥ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচার খুনি আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা,উন্নয়ন ও গণতন্ত্র ধ্বংস করে গেছে। নির্বাচনের নামে দেশের জনগণের সঙ্গে তামাশা ও প্রহসন করেছে। বিরোধী দলের প্রতি দমন, পীড়ন, মিথ্যা মামলা ও নেতা-কর্মীদের গুম, খুন করা হয়েছে। জোরপূর্বক ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে কাউকে ভোট দিতে দেয়নি আওয়ামী লীগ।

জনগণের আস্থা অর্জনে আমরা ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘদিনের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে দেশকে পুনর্গঠন করতে চাই।

গতকাল রোরবার দুপুরে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। সম্মেলন উপলক্ষ্যে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনসহ পায়রা ও বেলুন ওড়ান উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।

তারেক রহমান আরও বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা মানুষের কথা বলার অধিকারকে হরণ করে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একছত্র অপশাসন কায়েম করেছিল। ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার, খুনি ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতন ঘটানোর পর বাংলার মাটি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে শেখ হাসিনা। মানুষের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রকাঠামোকে মেরামত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন,বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বিএনপি অতীতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতেও পাশে থাকবে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বেকারদের প্রবাসে কর্মসংস্থানের সুযোগ, এদেশে রফতানি আয়ের প্রধান উৎস গামের্ন্টসের সূচনা ও কৃষি তথা কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। বিএনপি সরকারের আমলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, নারী শিক্ষার উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের জন্য কলকারখানা স্থাপনপূর্বক নানা ধরনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেন, আওয়ামী লীগ দিনের ভোট রাতে করে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে হঠিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। আগামী দিনের সরকার হবে খালেদা জিয়ার সরকার, তারেক রহমানের সরকার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন,বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসন আমলে নড়াইলের মানুষ ভালো ছিল না। ফ্যাসিবাদি সরকারের অপশাসনের কারণে হারানো স্বজনদের রক্তের ঋণ শোধ করার দায়িত্ব রয়েছে আমাদের। কাউন্সিলের মাধ্যমে তৃণমূলের নেতারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবেন-এটাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।

নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী মণ্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান, নড়াইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান আলেক,সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুর রহমান পলাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব মোর্শেদ জাপল, লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহাদুজ্জামান বাটু,কালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরদার আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সম ওয়াহিদুজ্জামান মিলু, নড়াইল পৌর বিএনপির সভাপতি তেলায়েত হোসেন বাবু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফসিয়ার রহমান, কালিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি এসএম সেলিম হোসেন,নড়াগাতি থানা বিএনপির সভাপতি খান মতিয়ার রহমান।

এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন সিকদার, নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা খান মোহাম্মদ কবীর হোসেন, আমেরিকার টেক্সাস বিএনপির সেক্রেটারি শেখ জহিরুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি সায়দাত কবীর রুবেলসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।