প্রাক্তনদের মিলনমেলায় প্রাণবন্ত ইবি 

0
ইবি সংবাদদাতা ।। জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটি।
সংগঠনের আহ্বায়ক নাজমুল হক সাঈদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনজারুল আলম, ইবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসাইন আল-মামুন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ সহ প্রায় তিন হাজার প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও ইবির সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগেন অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব আব্দুল হাই।
ইবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘অ্যালামনাই এসোসিয়েশন হলো বসন্ত উৎসবের মতো। আপনাদের আগমন এখানে বসন্ত উৎসবে পরিণত হয়েছে। আপনাদের অ্যালাইমনাইরা অনেক ভালো জায়গায় আছে। আপনারা চাইলে একটা প্রাইভেট ফান্ডিং, একটা ল্যাব, সেমিনার লাইব্রেরি, ফ্যাকাল্টি বিল্ডিং তৈরি করতে পারেন। এজন্য আপনাদের সেই মানসিকতা তৈরি করতে হবে। মায়ের যেমন সেবা করা দরকার, অ্যালামনাইরা তেমন বিশ্ববিদ্যালয়কে সেবা করবে। এই বিশ্বিবদ্যালয়ই আপনার পরিচয়, আপনার অস্তিত্ব। আপনারা ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আগলে রাখবেন।
তিনি আরও বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় যেই লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আমরা সেই মূল লক্ষ্যে নিয়ে যাবো।
আপনাদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় সঠিক লক্ষ্যে ফিরে যাবে। অ্যালামনাইদের দায়িত্ব হলো তার বিশ্বিবদ্যালয়ের গুরুত্ব ও অবদান তুলে ধরা। অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের মাধ্যমে ফান্ড থাকবে, অনেক শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব নিবে। সর্বোপরি আগামীর সকল ক্ষেত্রে অবদান রাখবে এই বিশ্বিবদ্যালয়।
স্বাগত বক্তব্যে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব বলেন,বলেন, ‘আমরা সামগ্রিকভাবে অ্যালামনাই এসোসিয়েশন যে উদ্দেশ্য নিয়ে সামনে চলছি, আমি দৃঢ়তার সাথে বিশ্বাস করি এই কর্তব্য বাস্তবায়ন করা খুব কঠিন কাজ নয়।  আমরা প্রতিবছর দুইটা অনুষ্ঠান আয়োজন করছি। একটা শীতকালীন আরেকটা রমজান কেন্দ্রিক। অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এই বিশ্বিবদ্যালয়ের উন্নতিতে, অগ্রগতিতে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করবে। এতে আপনাদের সকলের সর্বাত্নক সহযোগিতা কামনা করছি।’
অনুষ্ঠানে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান  ডকুমেন্টারি প্রদর্শন ও প্রাক্তনদের স্মৃতিচারণ ও জুলাই বিপ্লবের স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচন করা হয়। এছাড়া প্রাক্তনের সন্তানদের খেলাধূলা ও পুরস্কার বিতরণসহ সকল নিবন্ধিত প্রাক্তনদের উপহার সম্বলিত ব্যাগ প্রদান করা হয়। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত হয়।