উন্নয়ন সমন্বয় সভা : যশোর-খুলনা মহাসড়ক সংস্কারে আরো বরাদ্দ চায় সড়ক বিভাগ

0

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ যশোর শহরের দড়াটানা থেকে কাঠের পুল পর্যন্ত ভৈরব নদের প্রবাহ বন্ধ হওয়া নিয়ে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সমালোচনা উত্থাপন করেছেন সদস্যরা। এ প্রবাহ ধরে রাখতে পানি উন্নয়নবোর্ডসহ নদের উভয় তীরের বাসিন্দাদের সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। পানি উন্্নয়ন বোর্ড সমালোচনার মুখে পড়লেও তারা আগামীতে সমস্যার সমাধান করবে বলেও জানিয়েছে।
এদিকে পানি ্উন্্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে সুখবর দিয়ে সভায় জানানো হয়, ভবদহ সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যে আমডাঙ্গাখালের প্রায় ১০ একর জমি অধিগ্রহণের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। ফলে খাল সংস্কার সহজ হবে। এ খাল সংস্কার হলে ভবদহের পানি নিষ্কাশনও সহজ হবে। ঈদের পর থেকে এ ব্যাপারে কাজ শুরু হতে পারে বলে সভায় জানানো হয়।
এদিকে যশোর-খুলনা মহাসড়ক নিয়ে যাত্রী ও গাড়িচালকদের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে ১৬ কিলোমিটার আরসিসি ঢালাই দিতে চায় সড়ক বিভাগ। কিন্তু ৪০ কেটি টাকা ব্যায়ে মাত্র ৪ কিলোমিটার সংস্কার করা সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট ১২ কিলোমিটার সংস্কার করতে প্রস্তাব অনুসারে বিপুল পরিমাণ টাকার প্রয়োজন, যে টাকা বররাদ্দ পাওয়ার জন্যে জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ জেলা প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছে। সভায় জানানো হয় ্ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরে একটি টেন্ডার দেয়া হয়েছে কিন্তু সম্পূর্ণ মহাসড়ক সংস্কারে আরো প্রায় শত কোটি টাকার প্রয়োজন।
এসময় জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এই সমস্যা উত্থাপন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায়। এসময় মুড়লি মোড় থেকে মণিহার পর্যন্ত রাস্তার উপর দখলে থাকা অবৈধ স্থাপনা, গ্যারেজ, দোকান, বাস-ট্রাকসহ অবৈধ স্থায়ী ও অস্থায়ী দ্রব্য অপসারণ করতে জেলা প্রশাসকের সহায়তাও চেয়েছে সড়ক বিভাগ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় এ সব সহায়তা চাওয়া হয়। যশোর জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে কালেক্টরেট ভবনের অমিত্রাক্ষর সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও অফিস প্রধানদের সময় মতো উপস্থিত না থাকা নিয়েও সমালোচনা হয়। সভায় জেলার সার্বিক উন্নয়ন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও সরকারি কর্মকাণ্ডের গতি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে আনা, সন্ত্রাসীদের অপচেষ্টা ও অপপ্রচার রোধ, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা বিষয়েও করণীয় দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তাছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানানো হয় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে যেনো বোরো মৌসুমের ক্ষতি না হয়। এ সময় খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জেলায়য় গতমাসে ১০ হাজার ৯০৮ মেট্রিকটন খাদ্য মজুদ ছিল, এখনো মজুদ সন্তোষজনক।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক ও যশোর পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজিবুল আলম, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ্ইসলাম, সড়ক ও জনপথে বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া, পানি উন্নয়ন বোডের্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানর্জী, প্রেসক্লাব সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।