খুলনা জেলা কারাগারের হাসপাতাল থেকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল উদ্ধার !

0
ছবি: সংগৃহীত।

খুলনা ব্যুরো ॥ খুলনা জেলা কারাগারের ভেতরে হাসপাতাল থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ব কারা কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় সৈয়দ ইকবাল হাসান স্বাধীন নামে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির কারাবিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রোববার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন খুলনা জেলা কারাগারের সুপার মো. নাসির উদ্দিন প্রধান।

তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট বন্দী মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিল বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ মিলেছে। এ কারণে স্বজনদের সঙ্গে তার দেখা সাক্ষাৎ বন্ধসহ কারাবিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এ বিষয়ে আরও অধিকতর তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

খবর পেয়ে ডিআইজি প্রিজন অসীম কান্ত পাল গত সপ্তাহের শেষ দিকে কারাগার পরিদর্শন করেন। এ নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

জেল সুপার মো. নাসির উদ্দিন প্রধান জানান, খুলনা জেলা কারাগারে বর্তমানে খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী ও খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. রশিদুজ্জামানসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা রয়েছেন। এর আগে খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এই কারাগারে ছিলেন। তাকে দু-এক দিনের মধ্যে পুনরায় এখানে আনা হবে।

অভিযোগ রয়েছে, কারাগারের কয়েকজন কর্মচারী ও প্রভাবশালী কয়েদিদের একটি অংশ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ ওই বন্দীদের এভাবে মোবাইল ফোনে নিয়মিত বাইরে যোগাযোগের সুযোগ করে দিচ্ছেন।

এর আগে খুলনা জেল সুপার জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি কারাগারের হাসপাতাল থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। কীভাবে এই মোবাইল ফোনটি এখানে এলো, কারা কখন এটি ব্যবহার করেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ডিআইজি প্রিজন এরই মধ্যে কারাগার ভিজিট করেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে তথ্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, হত্যা, হামলা, মারধরসহ চারটি মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও শিল্পপতি আব্দুস সালাম মূর্শেদী বর্তমানে খুলনা জেলা কারাগারে রয়েছেন।

এছাড়া অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে পটুয়াখালী থেকে সহিংসতা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেফতারের পর এই কারাগারে আছেন খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান। এর বাইরেও আওয়ামী লীগের শীর্ষ সারির কয়েকজন নেতাকর্মী এই কারাগারে রয়েছেন। কারা এটি ব্যবহার করেছেন তা তদন্ত করা হচ্ছে।