চিতলমারীতে সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

0

চিতলমারী (বাগেরহাট) সংবাদদাতা॥ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের আন্দোলনের কথা বলে বাগেরহাটের চিতলমারীর সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে ব্যাপক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাধারণ শিক্ষকদের মাঝে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন আকতার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।
চিতলমারী উপজেলায় মোট ১১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪৫২জন সহকারী শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন সময় চিতলমারী উপজেলার সহকারী শিক্ষকরা দশম গ্রেড বাস্তায়বনের লক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এবার দশ গ্রেড বাস্তবায়নে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কর্মসূচি পালন করবেন। এ জন্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষক চিতলমারী সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে ব্যাপক চাঁদা আদায় করেছেন।
সহকারী শিক্ষকসাফায়েত হোসেন, বিজন মন্ডল ও অনুপ মন্ডল জনান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের লক্ষে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আন্দোলনের কথা বলে ১০-১২জন শিক্ষক নেতা গত এক সপ্তাহ ধরে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে জনপ্রতি ১৫০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করে করেছেন।
এ ব্যাপার বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি চিতলমারী উপজেলার শাখার সভাপতি কাজী কামরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খোকন মন্ডল বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক ও নেত্রীবৃন্দের আহবানে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সারা দেশের শিক্ষকরা ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশ ও কর্মসূচি পালন করবেন। ওই কর্মসূচিতে আমরা চিতলমারী থেকে ২০-২৫জনের একটি টিম ঢাকায় ওই আন্দোলনে পাঠাবো। যার জন্যে সাধারণ শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে।
চিতলমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অচ্যুতানন্দ দাস জানান, স্কুল বন্ধের দিনে শিক্ষকরা যেতেই পারেন। চাঁদা দেওয়ার ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন আকতার বলেন, সরকারি চাকরি করে আন্দোলনে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি।