শৈলকুপায় আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

0

মফিজুল ইসলাম, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) ॥ শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের দু গ্রুপের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৪ জুলাই কাশিনাথপুর গ্রামের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলামের ছেলে কলেজছাত্র রানা আহমেদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের সমর্থকরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। সেই মামলার আসামিরা জামিনপ্রাপ্ত হয়ে বাড়ি এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদী সাইফুল ইসলামকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শনিবার সকালে দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ওমর আলী, কুলসুম বেগম, সাদ্দাম হোসেন, তুহিন খান, ইসলাম খান, হোসাইন খান, আশালুদ খান, সেলিম খান, তাইজেলখান, রোজিনা খাতুন আমির ম-লসহ দুই গ্রুপের ১৫জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কলেজছাত্র রানা হত্যা মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম শনিবার জানান, ‘আসামিরা জামিনে বাড়ি এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। তিনি মামলা তুলতে রাজি না হয় সকালে আসামি বাবলু খার নেতৃত্বে অন্য আসামিরা তাদের ওপর হামলা করে । এতে তার পিতাসহ সাত আট জন গুরুতর আহত হন।
এ ব্যাপারে মাতব্বর তাজাল খান নামের এক ব্যক্তি জানান, সম্প্রতি প্রতিবেশী সাব্বির খানসহ তিন যুবক এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। সেই ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। সাইফুল এই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাদের ওপর বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এই ঘটনায় জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে উভয়ই গ্রুপের ১৫জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান, কাশিনাথপুর গ্রামে সকালে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে।