বাংলাদেশে পাসপোর্ট বাতিল, ভারতে ভিসার মেয়াদ বাড়ল শেখ হাসিনার

0
ছবি: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (সংগৃহীত)।

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের আগস্টে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধসহ একাধিক মামলায় ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দেয়া হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও।

এছাড়া ইতিমধ্যে শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারত সরকারের কাছে কূটনৈতিক চিঠির মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর এই প্রত্যর্পণের চাপের মধ্যেই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত সরকার।

বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এমন কয়েকজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

কর্মকর্তারা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছে, হাসিনাকে প্রত্যর্পণে ঢাকার পক্ষ থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যেই তার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, ভারতে শেখ হাসিনার থাকার সুবিধার্থেই সম্প্রতি তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তাঁর ভারতে আশ্রয়ের বিষয়টি মোকাবিলার জন্য ‘সুনির্দিষ্ট আইন নেই’ বলেও জানান তাঁরা।

এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে ওই কর্মকর্তারা আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার ভিসার মেয়ার বাড়ানোর বিষয়টি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন।’

এর আগে হিন্দুস্তান টাইমস গত ৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে জানিয়েছিল যে, শেখ হাসিনাকে প্রত্যার্পণের জন্য বাংলাদেশ সরকার যে অনুরোধ করেছে, তাতে ভারত সরকারের সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ এই জাতীয় সমস্যা সমাধান করার জন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেনি ঢাকা।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গুম ও হত্যায় জড়িত ২২ পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া জুলাই–আগস্টে গণহত্যায় জড়িত ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে, এর মধ্যে শেখ হাসিনার নামও আছে।’

গত ২৩ ডিসেম্বর শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তবে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বাংলাদেশের এই পদক্ষেপগুলিকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের ওপর চাপ বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টা হিসাবে দেখা হচ্ছে।