যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল চত্বর জুড়ে গাড়ি পার্কিং, রোগী চলাচল দায়

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল চত্বরে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে রোগী ভোগান্তি চরমে উঠেছে। রোগীদের ঠেলে ফেলে চলছে ইজিবাইক, রিকসা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারসহ ছোট ছোট গাড়ি।
হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ৮শ থেকে ২ হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। এ হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে রোগীর টিকিট কাউন্টার। হাসপাতালের বহির্বিভাগের চিকিৎসকের চেম্বার থেকে টিকিট কাউন্টারের দূরত্ব ১৫ থেকে ১৮ ফিট। এর মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে প্রশাসনিক ভবনমুখী রাস্তা। বহির্বিভাগের সামনের এ রাস্তায় রোগী চলাফেরা করেন এবং টিকিট কেটে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। এ রাস্তাটাতে রোগীর ভিড় লেগেই থাকে। এ অবস্থার মধ্যেও টিকিট কাউন্টারের সামনে দিয়ে হরহামেশা চলে যানবাহন। কোন কোন গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। বাইরের গাড়ির পাশাপাশি চিকিৎসকদের প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও জিপ অহরহ চলাচল করে। এছাড়াও জরুরি বিভাগের সামনে, সার্জারি বিভাগের সমানে ও করোনারী কেয়ার ইউনিটের পাশে অ্যাম্বুলেন্স, ছোট ছোট যানবাহন, ইজিবাইক, থ্রি হুইলার দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। যানবাহন ঠেলে রোগীদেও চলাচল করতে হয়। এতে চিকিৎসা নিতে এসে অনেকে গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। এ দৃশ্য নিত্য দিনের হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের দালালরা রোগী ভাগিয়ে নিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনের গেটটি ব্যবহার করছে। তারা গেটের সামনে নিজেদের যানবাহন দাড় করিয়ে কৌশলে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যায়। প্রশাসনিক ভবনের সামনের গেটটি খুলে রাখার ফলে তারা এ সুযোগ পাচ্ছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কতিপয় চিকিৎসক নেতা তাদের ক্লিনিক ব্যবসাকে সমৃদ্ধ করতে এ গেট খোলা রাখার ব্যবস্থা করে। চলতি বছরের ২৪ মার্চ প্রশাসনিক ভবনের গেটটি খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ব্যবস্থাপনা কমিটি। এরপর থেকে রোগীদের দুর্ভোগ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। চোর, বাটপার, দালাল ভরে যাচ্ছে হাসপাতালে, সৃষ্টি হচ্ছে ব্যাপক যানজট।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হারুন অর রশীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গেটটা খোলা রাখা হচ্ছে। যানবাহন পার্কিং ঠেকানোর চেষ্টা হচ্ছে। সবাই সচেতন না হলে শুধু কর্তৃপক্ষের পক্ষে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব না।