শ্যামনগরে কৃষি জমি থেকে বালি উত্তোলন

0

 

 

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা ) সংবাদদাতা ॥ শ্যামনগরে ড্রেজিং মেশিন ব্যবহার করে কৃষি জমি থেকে বালি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে তিন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দুর্যোগপ্রবণ এলাকা হওয়ায় স্থানীয়রা বালি উত্তোলনে আপত্তি তোলায় ওই তিন ব্যক্তি হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর।
শ্যামনগরের ভামিয়া- পোড়াকাটলা এলাকা থেকে ড্রেজিং মেশিন দিয়ে কৃষি জমি থেকে বালি তুলছেন স্থানীয় তিন প্রভাবশালী মো. আবিয়ার, মো.মহব্বত ও মো. জিন্নাত। তাদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসী অভিযোগ করেছেন তারা গত শুক্রবার থেকে বালি উত্তোলন শুরু করেছেন।
পোড়াকাটলা গ্রামের সুধাংশু ম-ল জানান, শুক্রবার সকাল থেকে দুটি মেশিন ব্যবহার করে পোড়াকাটলা দিপায়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনের জমি থেকে বালু উত্তোলন শুরু হয়। অনাদী বিশ্বাস নামের স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আর্থিক সুবিধার প্রলোভনে ফেলে তার জমি থেকে ওই বালু উত্তোলন চলছে।
আইয়ুব আলী সরদার নামের এক ব্যক্তি জানান, বালু উত্তোলনের সাথে জড়িতরা স্থানীয়ভাবে খুবই প্রভাবশালী। এভাবে বালু তোলার কারণে স্থানীয়রা ভাঙন আতংকের কথা শোনাচ্ছেন বলেও আইয়ুব আলীর দাবি।
রুুস্তম আলী নামের স্থানীয় এক গ্রামবাসী জানান ভাড়াটে জনবলসহ বোরিং মেশিন ও বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদী খাগড়াঘাট এলাকা থেকে আনা হয়েছে। কৃষি জমি থেকে বোরিং করে বালু উত্তোলনে তারা ভীতিকর অবস্থার মধ্যে পড়ার শংকায় ভুগছেন। তিনি আরও বলেন উত্তোলনকৃত বালু দিয়ে বর্তমানে ৩৫নং ভামিয়া পোড়াকাটলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুকুর ভরাটের কাজ চলছে। পরবর্তীতে সিন্ডিকেটটি একই অংশের ভু-গর্ভস্থ্য বালু উত্তোলন করে পার্শ্ববর্তী দুই কিলোমিটার সড়ক নির্মান কাজে সরবরাহের চুক্তি সম্পন্ন করেছে। বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের দুর্গাবাটি গ্রামের ভুপতি মন্ডলের বাড়ি হতে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত সড়কে উক্ত বালু ব্যবহার হবে। এ বিষয়ে বুড়িগোয়ালীনির আবিয়ার জানান, বালি তোলার ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি), ইউএনও এবং জেলা প্রশাসকের অনুমতি আছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনী খাতুন জানান, বালু মহালের বাইরে ঝুঁকিপূর্ণ কোনো জায়গা থেকে বালি উত্তোলন করার অনুমতি কারও নেই। এধরনের ঘটনা ঘটলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।