খোলাডাঙ্গায় সন্ত্রাস ও ছিনতাইয়ের প্রতিবাদ করায় খুন হয়েছেন সজল

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গার ব্যবসায়ীয় নেতা ও জামায়াত কর্মী আমিনুল ইসলাম সজল হত্যাকান্ডে সন্ত্রাসী খোঁড়া কামরুলের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে কামরুল গংয়ের অন্তত ১০ সদস্য হত্যাকান্ডে অংশ নেয়। তবে হত্যার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার আসর বাদ খোলাডাঙ্গা সার গোডাউন এলাকার মসজিদে নিহত আমিনুল ইসলাম সজলের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা ছাড়াও এলাকাবাসী অংশ নেন। পরে পারিবারিক কবরস্থানে নিহত আমিনুল ইসলাম সজলকে দাফন করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আমিনুল ইসলাম সজল ছিলেন খোলাডাঙ্গা গাজীর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি। তিনি সভাপতি হওয়ার পর সন্ত্রাসী খোঁড়া কামরুল গংকে এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকান্ড করতে নিষেধ করেন। কয়েকদিন আগে খোঁড়া কামরুলের দুই সহযোগী টিটো ও শারন এলাকায় ছিনতাই করে। ঘটনাটি জানতে পেরে প্রতিবাদ করেন সজল। এরই জের ধরে খোঁড়া কামরুলের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে ছুরিকাঘাতে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। হত্যা মিশনে খোলাডাঙ্গার খোঁড়া কামরুল, শারন, টিটো, লাবিব ও চাঁচড়া রেলগেট এলাকার ইমনসহ অন্তত ১০ জন অংশ নিয়েছিলো।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে কোতয়ালি থানা পুলিশের ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, হত্যার ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। কেউ আটকও হয়নি। পরিবারের লোকজন এজাহার নিয়ে সন্ধ্যার (মঙ্গলবার) পর থানায় আসবেন বলে তাকে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার এশার নামাজ আদায় করতে মসজিদে যাওয়ার পথে খোলাডাঙ্গা সার গোডাউনের পেছনে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন আমিনুল ইসলাম সজল। তিনি খোলাডাঙ্গার আজিজুল ইসলাম মিন্টুর ছেলে।
ব্যবসায়ী নেতা আমিনুল ইসলাম সজল হত্যার দুই দিন আগে গত ২ নভেম্বর খোলাডাঙ্গায় আসাদুল ইসলাম নামে এক যুবক খুন হয়েছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা জহুরুল অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করলেও এখনো পর্যন্ত জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।