প্রতিমা বিসর্জনে যশোর লালদীঘিতে মানুষের ঢল নামে

0

 

স্টাফ রিপের্টার ॥ প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে যশোরে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব। গত রোববার সন্ধ্যায় শহরের লালদীঘিতে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে বিপুলসংখ্যক মানুষের ঢল নামে লালদীঘিতে। যশোর পৌরসভার তত্ত্বাবধানে শহরের ৪৯টি প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় দীঘিতে।
বিসর্জন নির্ভিন্ন করতে লালদীঘি এলাকাতে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা সচল ছিল। সিঁদুর খেলা ও নেচে-গেয়ে মায়ের অশ্রুসিক্ত বিদায় জানান সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
প্রতিমা নিরঞ্জন উপলক্ষে লালদীঘির আলী রেজা রাজু মঞ্চে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিমা বিসর্জনে মানুষের এই ঢলে প্রমাণ করে বাঙালি উৎসবকে ভালোবাসে। অসাম্প্রদায়িক জেলা যশোর, সাংস্কৃতিক জেলা যশোরে ধর্ম বর্ণের পার্থক্য নেই। হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মের মানুষেরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। শুধুমাত্র ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে কোথাও কোন কারণে যেন বৈষম্যের সৃষ্টি না হয়। কোন সুযোগ সন্ধানী সুযোগের জায়গা যেন না পায়। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিপংকর দাস রতনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ, যশোর সেনানিবাসের লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোস্তফা কামাল, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে বিকেল থেকে ম-পে ঢাক ঢোল বাজিয়ে দুর্গা মাকে বিদায় জানান ভক্তরা। লালদীঘি ছাড়াও জেলার বিভিন্ন নদী এবং পুকুরেও প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। এ বছর যশোর জেলায় ৬৫২টি মন্দির ও মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।