জিয়া পাঠাগারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাটক আগামীর বাংলাদেশে মেধাবীরাই হবে তারেক রহমানের কর্মী: অনিন্দ্য ইসলাম অমিত

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ ১৭ বছর পর ফ্যাসিস্টমুক্ত পরিবেশে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপহার দিলো জিয়া স্মৃতি পাঠাগার যশোর জেলা শাখা। গতকাল মঙ্গলবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে আবৃত্তি, সঙ্গীত ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জীবন কাহিনী নিয়ে নাটক ‘প্রেসিডেন্ট’ পরিবেশিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপভোগ করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। অনুষ্ঠান শেষে এক আলোচনায় অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, শুধু মিছিল মিটিং করা রাজনীতি নয়। রাজনীতির করবার ক্ষেত্রে মানুষকে রাজনীতি সচেতন করাটাও জরুরি। দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি সম্পর্কে যদি না জানি, তাহলে বৃহৎ পরিসরে বিএনপির রাজনীতি বা জাতীয়তাবাদের রাজনীতি কি সেটা জানা অত্যন্ত কঠিন।

পরিবেশিত নাটক নিয়ে তিনি বলেন, এই নাটকটি পরিবেশেনের মধ্য দিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমানের দর্শন, দুদর্শিতা সম্পর্কে আমাদের জানার সুযোগ হয়েছে। শহীদ জিয়াউর রহমান তার শাসন আমলে মেধাবী ছাত্রদের তুলে নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন, দেশকে আত্মনির্ভরশীল এবং উন্নয়নের শিখরে নিতে হলে সমাজের সকল স্তরে মেধাবীদের যোগ্য উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যারা বিএনপির রাজনীতি করছি, আমাদের প্রিয় নেতা দেশ নায়ক তারেক রহমান দেশে ফিরে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের নেতৃত্ব দিতে পারবেন যদি আমরা মেধা চর্চার মাধ্যমে যোগ্য হয়ে উঠতে পারি। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে মেধাবীদের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।

রাষ্ট্র নিয়ে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, জেড ফোর্সের সর্বাধিনায়ক, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি, নির্ভর বাংলাদেশের রূপকার, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)- এর দর্শন, ভাবনা, চিন্তা ও দূরদর্শিতা নিয়ে নাটক প্রেসিডেন্ট পরিবেশন করে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের শিল্পীরা। নাটকে মেধাবী ছাত্র, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমানের সমুদ্র ভ্রমণের কাহিনী তুলে ধরা হয়।

নাটকটি কবি আল মাহমুদের তৃষিত জলধি গল্পের অবলম্বনে রচিত। যার নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় ছিলেন, মাসউদ জামান। সহনিদের্শনায় ছিলেন, অরুন মজুমদার। ১৩ কুশিলবের নাটকে অভিনয় করেন মাসউদ জামান, রিফাত মাহমুদ, ইব্রাহিম খলিল, সোহেল রানা, পিয়াস মন্ডল, সাইদুর রহমান, তাহসিন, তানভীর হাসান, হাসিবুর রহমান, রফিকুল হাসান, তহমিনা মিনা, আলেয়া আক্তার প্রেমা ও লিটন হাসান। আলোকসজ্জায় ছিলেন বায়েজিদ, পোশাক ও মেকআপ স্বপন দাস, আবহ সঙ্গীতে ছিলেন মাসুদ জামান। পরে কবিতা আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। কবিতা আবৃত্তি করেন সাইদুর রহমান, অরুণ মজুমদার, আনিছুর রহমান এবং একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন সরফরাজ হোসেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠান উপভোগ করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য একে শরফুদ্দৌলা ছোটলু, কাজী আজম, নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুলুক চাঁদ, সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা কালচারাল অফিসার হায়দার আলী, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, জিয়া স্মৃতি পাঠাগার যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন লতা।