হৈবতপুরে বিএনপির সমাবেশস্থলে হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগের ৪৬ কর্মীর নামে মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেখ হাসিনার সরকারের পতনের একদিন আগে যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নের মিরা লাউখালী ঈদগাহে বিএনপির সমাবেশে হামলা ভাঙচুর ও মারধর করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার ৪৮দিন পর গত শনিবার বিকেলে আদালতে মামলা হয়েছে। হৈবতপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৪৬ নেতাকর্মীকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলাটি করেছেন।

ওই মামলার আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মৃত গোলাম নবীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম, বাক্কার গাজীর ছেলে কামরুল ইসলাম, মৃত নুরোর ছেলে শাহাজান আলী, উত্তর ললিতাদহ গ্রামের মৃত কেফায়েত মিয়ার ছেলে আব্দুর রহিম, মিলন হোসেন, আব্দুর রহমান পচার ছেলে সোহাগ, মোস্তফা মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর, ধন্য মিয়ার ছেলে হারুন, মৃত রুহুল আমিনের ছেলে আবু সাঈদ, লাউখালী গ্রামের খোকন হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন, আইনাল হোসেনের ছেলে আনিচুর রহমান, কৃদা চৌকিদারের ছেলে খলিল, ছোট হৈবতপুর গ্রামের আজগর হোসেনের ছেলে বাবলু, তীরেরহাট গ্রামের হান্নান হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন, রহমতপুর গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে জসিম উদ্দিন, মথুরাপুর গ্রামের শাহাজান গাজীর ছেলে শিমুল হোসেন, মৃত নওশের আলীর ছেলে ঠান্ডু, মৃত মহসিন আলীর ছেলে ঠান্ডু, মৃত শমসের আলীর ছেলে শহর আলী, শাহাজান আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন, শাহাজান গাজীর ছেলে শিমুল, নাটুয়াপাড়া গ্রামের মৃত মোসলেম বিশ্বাসের ছেলে মহসিন আলী, মৃত মাসুদুর রহমানের ছেলে লাল্টু হোসেন, কাউদিয়া গ্রামের মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে হান্নান হোসেন, বালিয়াঘাট লাউখালী গ্রামের মৃত শাহাদত হোসেনের ছেলে আবু কালাম, ইছাহাক আলীর ছেলে শিমুল হোসেন, বানিয়ালী গ্রামের মৃত তারা মিয়ার ছেলে মোস্তফা, দৌলতদিহি গ্রামের রেজাউল ইসলাম, মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে মহিউদ্দিন ফেরদাউস, কিসমত গ্রামের মৃত মোজাহের চাকলাদারের ছেলে ইছাহাক চাকলাদার, মৃত কাইয়ুমের ছেলে মশিয়ার, মৃত হযরত আলীর ছেলে কামরুল, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত মনির ছেলে ওসমান গনি, ইউসুফ, শাহাবাজপুর গ্রামের মৃত আবুল মহুরির ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন, জোড়া হৈবতপুর গ্রামের মৃত ইবাদ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম, নুরোর ছেলে সোহরাব, জোড়াদাহ গ্রামের আব্দুল আজিজ, ভাগলপুর গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে লাবলু, খোকনের ছেলে মতিন, বাবর আলীর ছেলে জিয়া, রসুলপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে বিল্লাল হোসেন, গোলাম আলীর ছেলে টুটুল হোসেন, মৃত শমসের আলীর ছেলে আলতাফ হোসেন, মুরাদগড় গ্রামের মৃত আলতাব হোসেনের ছেলে সাজেদুল হাসান মিন্টু ও বড় হৈবতপুর গ্রামের ওদুদ খাঁ’র ছেলে শরিফুল ইসলাম।

লাউখালী গ্রামের হাজী আব্দুস সামাদের ছেলে বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিনের অভিযোগ, গত ৪ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে মিরা লাউখালী ঈদগাহে স্থানীয় বিএনপি এক সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ চলাকালে উল্লিখিত আসামিরা দেশীয় অস্ত্র ও বোমা নিয়ে সেখানে হামলা চালান। তারা লোহার রড দিয়ে সমাবেশে উপস্থিত লোকজনকে এলোপাতাড়ি মারধর করলে অন্তত ১২ জন আহত হন। এর মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এছাড়া হামলাকারীরা চেয়ার, টেবিল ও মাইক সেট ভাঙচুর এবং বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করলে হামলাকারীরা হুমকি ধামকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যান।