রামপালে সন্ত্রাসী মুক্তর অত্যাচার বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

0

রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা॥ রামপাল উপজেলার কুমলাই গ্রামের ৬টি হত্যাসহ অর্ধশতাধিক মামলার আসামি মুক্ত ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ কুমলাই গ্রামের হাজার পরিবার। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পরও তার বাহিনীর সদস্যদের অত্যাচার অব্যাহত রয়েছে। শনিবার এর প্রতিকার চেয়ে ও বিচার দাবিতে ওই গ্রামের নারী-পুরুষরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
বিকেলে উপজেলার কেয়ারের বাজার মোড়ে ভুক্তভোগীরা মানববন্ধন করেন। তারা দাবি করেন, বিগত ১৬/১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে মুক্ত বাহিনী বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেনের ছত্রছায়ায় থেকে কুমলাই গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তার অত্যাচারে রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ এমনকি নারীরাও নিরাপদ ছিলেন না।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ২০০১ সালে সমর নাথের বাড়িতে ডাকাতি করার। ২০০১ সালে বাবলু মেম্বারকে হাতুড়িপেটা করে পঙ্গু করা। ২০০৩ সালে জনপ্রিয় বিএনপি নেতা ও চেয়ারম্যান সরদার হাবিবুর রহমানকে হত্যা করা। ২০০২ সালে জনপ্রিয় জামায়াত নেতা মাও. গাজী আবু বকারকে হত্যা করা। ২০০৪ সালে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় গিলাতলা বাজারের চল ব্যবসায়ী বাবলুকে হত্যা করা। ২০০৫ সালে ফেনী জেলার সাহানাজকে ধর্ষণ ও হত্যা করা। সর্বশেষ ২০১৯ সালে উজলকুড় ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খাজা মইন উদ্দিন আক্তারকে বোমা মেরে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা মল্লিক দেলোয়ার হোসেন, মো. মারুক বিল্লাহ, বাইনতলা ইউপির ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ তরিক, ছাত্রদলে আসাদুজ্জামান শুভ, সাব্বির আল মুসাব্বির, গাজী ইজাজসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও ৫ শতাধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে আত্মগোপনে থাকা অভিযুক্ত মুক্ত শেখের মোবাইল ফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।