যশোরে ভগ্নিপতিকে পিটিয়ে জখম করেছে শ্যালক

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর শহরে শ্বশুর বাড়িতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করতে এসে শ্যালক শেখ আশিক ইকবালের মারধরে ভগ্নিপতি মনিরুল ইসলাম মুন্না রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। পৈত্রিক জমির ভাগ বাটোয়ারার দ্বন্দ্বে শ্যালক শেখ আশিক ইকবাল ভগ্নিপতিকে রক্তাক্ত জখম করেছেন এমন অভিযোগ বোন ফারজানা তানজামের।
এদিকে স্বামীকে জখমের ঘটনায় স্ত্রী ফারজানা তানজাম ভাই শেখ আশিক ইকবাল, তার দুই পুত্র শেখ সাকিব ইকবাল ও শেখ রাকিব ইকবাল এবং তাদের বন্ধু ইব্রাহিমের নাম উল্লেখ করে কোতয়ালি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহারে তিনি বলেন, পৈত্রিক জমির বিষয় নিয়ে ভাই শেখ আশিক ইকবালের সাথে আমার এবং অন্যান্য ভাই বোনের সাথে দ্বন্দ্ব চলছে। আমি চাকরির সুবাদে বর্তমানে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানা এলাকায় বসবাস করি। গত ১৬ জুন সকাল ৯ টায় আমি স্বামী সন্তানসহ স্টেডিয়ামপাড়ার পিতার বাড়িতে আসি ঈদুল আজহা উদযাপনের জন্য। ঈদের দিন রাত সাড়ে ১২ টার দিকে স্বামী মনিরুল ইসলমা মুন্না আমার বড় বোন শিমুল আক্তারের দুই মেয়েকে পৌর পার্কের গেটের সামনে প্রতিক ভবনে তাদের নিজ বাসায় পৌঁছে দিতে যাই। তাদের পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শহীদ আসাদ গেটের সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎঁপেতে থাকা আমার ভাই শেখ আশিক ইকবাল, তার দুই পুত্র শেখ সাকিব ইকবাল ও শেখ রাকিব ইকবাল এবং ইব্রাহিমসহ অন্যদের নিয়ে আমার স্বামীর ওপর অতর্কিত আক্রমণ করে। এ সময় তারা আমার স্বামীকে বাঁশের লাঠি, কাঠের চলা, ইট দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তারা আমার স্বামীর গলায় থাকা ৩০ হাজার টাকা মূল্যেও সোনার চেন এবং পকেটে থাকা ৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। পরে সংবাদ পেয়ে আমি, ছোট ভাই তৌফিক ইবকালসহ অন্যরা ঘটনাস্থলে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
এর আগেও অভিযুক্তরা গত ৮ মে স্টেডিয়াম মার্কেটে আমার ছোট ভাই শেখ তৌফিক ইকবালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুর করে এবং দোকানের ক্যাশ থেকে ৫৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শেখ তৌফিক ইকবাল অভিযুক্ত তার ভাই শেখ আশিক ইকবাল এবং তার দুই পুত্র শেখ সাকিব ইকবাল ও শেখ রাকিব ইকবালের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ১০ মার্চ শেখ আশিক ইকবালের বিরুদ্ধে তার প্রয়াত পিতা শেখ মোহাম্মদ আলী সম্পত্তি নিয়ে ভাগ বাটোয়ারার জেরে বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। একই অভিযোগে ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর তার মা রোকেয়া আলীও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।