কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

0

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ।। কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ সপ্তাহে বেড়েছে সরু চাল ও আলুর দাম। বাজারে এখনও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশ কিছু সবজি। অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংস ও মাছের দাম। শুক্রবার যশোরের বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
শুক্রবার বড় বাজারে খুচরা ব্যবসায়ী জয়দেব সাহাকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। তিনি জানান আড়তে দাম বেশি। গত সপ্তাহে ছিল ৭০ টাকা। এ সপ্তাহে আলুর কেজিতেও ৫টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকায়। বড় বাজার কালীবাড়ি এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ী নিতাই গৌর ভা-ারের স্বত্বাধিকারী বাগান চন্দ্র সাহা এ প্রতিবেদককে জানান, ভারতে পেঁয়াজের দাম বেশি। এ কারণে আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছেন। এ সুযোগে বড় ব্যবসায়ীরা দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, এ অঞ্চলের পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় হাট রাজবাড়ী জেলার নারুয়া। সেখানে পাইকারি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ টাকা। তিনি কুরবানি ঈদের আগে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন।
এদিকে ভরা মৌসুমেও সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। শুক্রবার খুচরা বিক্রেতা নাসির আলী জানান, তিনি ভালো মানের উচ্ছে বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, সজনেডাটা ৮০ টাকা, গাজর ১৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা। তিনি জানান, ঘূণিঝড় রিমালের প্রভাবে পেঁপে গাছ ভেঙে পড়েছে। বেশ কিছু সবজির ক্ষতি হয়েছে। তবে অন্যান্য সবজি বেশ খানিকটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে, ঝিঙে প্রতি কেজি ২০ টাকা, পটল ২০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা ও লাউ প্রতিটি ২০ টাকা।
বাজারে সরু চালের দাম বাড়ার বিষয়ে যশোর চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল কুমার বিশ^াস জানান, বাংলামতি চালে প্রতি কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে। শুক্রবার বড় বাজার চালবাজারে বাংলামতি চাল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৭৪ টাকা থেকে ৭৬ টাকা, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৭২ থেকে ৭৪ টাকা। তিনি আরও জানান, সরকারি গুদামে চাল কেনার জন্য হাট-বাজারে ধানের সরবরাহ কমেছে। এ কারণে এর একটা প্রভাব পড়েছে। তবে অন্যান্য চালের দাম এ সপ্তাহে অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার মিনিকেট প্রতি কেজি ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা, কাজললতা ৫২ থেকে ৫৬ টাকা, বিআর-৬৩ চাল ৬৪ থেকে ৬৮ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫২ থেকে ৫৬ টাকা ও নূরজাহান চাল বিক্রি হয়েছে ৪৭ টাকায়।
বড় বাজার কাঠেরপুলে এ সপ্তাহেও গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। মাংস বিক্রেতা নাদিম বিফ হাউজের স্বত্বাধিকারী মো. নাদিম জানান, কুরবানি ঈদের আগে আর গরুর মাংসের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। তবে বাজারে আগের মতো ক্রেতা নেই। বিক্রি খুব একটা ভালো না।
বড় বাজার মাছ বাজারের বিক্রেতা মীর রিয়াজুল আলম রোকন জানান, মাছের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও বেশি দামের কারণে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা খুব কম। তিনি জানান, শুক্রবার প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা, প্রতি কেজি কাতল ২০০ থেকে ২২০ টাকা, বেলে মাছ আকারভেদে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা, দেশি ট্যাংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পাবদা ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, বাইম মাছ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ২৮০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা।