সর্বজনীন পেনশনের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে যবিপ্রবি ও কুয়েটে মানববন্ধন

0

যবিপ্রবি সংবাদদাতা॥ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তকরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্যে স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে মানববন্ধন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (যবিপ্রবিশিস)। একই দাবিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে রোববার।
রোববার সকালে যবিপ্রবির মাইকেল মধুসূদন দত্ত লাইব্রেরি কাম একাডেমিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে ছাত্রদের ক্লাসরুমে পড়ালেখা করানো। কিন্তু কোনো এক কুচক্রী মহলের কারণে ক্লাস রেখে আজ আমরা আন্দোলনের জন্যে মাঠে নেমেছি। আমরা আমাদের ছাত্রদের ভালোভাবে পড়াতে চাই। কিন্তু তার জন্যে আমাদেরও ভালো থাকতে হবে। আজকে সব জায়গায় শিক্ষকদের জন্যে বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। আমরা চাই সরকারের কাছে যে বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে সেটা প্রত্যাহার করা হোক। একইসাথে শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল নির্ধারণ করার দাবি জানাচ্ছি। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, পাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের সকল দেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্যে স্বতন্ত্র বেতন স্কেল আছে, একমাত্র বাংলাদেশে সেটা নেই। আমাদের সুপার গ্রেড দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা থেকে শিক্ষকদের বঞ্চিত করা হয়েছে। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হাসান, ফলিত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাফিরুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ইমরান খান, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নাসিম রেজা, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুনিবুর রহমান প্রমুখ।

এদিকে কুয়েটে সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্যে সুপারগ্রেড কার্যকর এবং স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন হয়েছে।
এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শিক্ষকরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও গবেষণার মূল চালিকা শক্তি। সেই সঙ্গে জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ত্যাগ ও কঠোর পরিশ্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একই বেতনস্কেলে কর্মরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্যে ভিন্ন নীতি অবলম্বন
সংবিধানের মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সর্বজনীন পেনশন চালুর মধ্যে দিয়ে শিক্ষক সমাজে বৈষম্য সৃষ্টির যে অপচেষ্টা করা হচ্ছে তা কুয়েটের সকল শিক্ষক প্রত্যাখান করেছে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আব্দুল হাসিব তার বক্তব্যে বিদ্যমান পেনশন এবং প্রত্যয় স্কিমের সুবিধা ও বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এই ব্যবস্থা সরকারি অন্যান্য চাকরিজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য বাড়াবে।