শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল‘ মোকাবিলায় জরুরি সভা

0

শেখ আব্দুল হাকিম, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) ॥ ধেঁয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ যা আইলার চেয়ে ভয়ঙ্কর বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। এসব সংবাদের ভিত্তিতে শ্যামনগর উপকূলীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শ্যামনগরে গাবুরা দ্বীপ ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ১ হাজার ২০ কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান। দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে গোটা ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে মেগা প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় শ্যামনগর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা উপজেলা পরিষদের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা, শুকনা খাবার প্রস্তত রাখা, ইউনিয়নে মেডিকেল টিম প্রস্তুতকরণ, খাওয়ার পানি মজুদ রাখা, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখাসহ একই সাথে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস.এম আতাউল হক দোলন, উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ নাজমুল হুদা রিপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস খালেদা আইয়ুব ডলি, শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শাহিনুল ইসলাম, শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তরিকুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার মৃধা, গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম, কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আনিসুজ্জামান আনিস, পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, এনজিও সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গাজী আল ইমরান, সিপিপির উপজেলা টিম লিডার শেখ মাকসুদুর রহমান মুকুল প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম বলেন, শ্যামনগর উপজেলায় ১৬৩টি আ¤্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য বহুতল ভবন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তত রাখা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন (এসও) বলেন, অধিক ঝুকিপূর্ণ বিভিন্ন ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত বেড়িবাঁেধ মেরামতের কাজ করা হচ্ছে।
এদিকে উপকূলীয় এলাকা গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুডিগোয়ালিনী, কৈখালী, রমজাননগর ও আটুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দুপুরের পর থেকে আকাশ মেঘলা ও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এছায়াও উপকূলের নদ-নদীগুলো উত্তাল হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে সুন্দরবনে মাছ-কাঁকড়া ধরা ও মধু সংগ্রহসহ বনজীবীদের নৌকাগুলো উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসতে শুরু করেছে।