অসহ্য গরমের পর বৃষ্টির পূর্বাভাস যশোরে

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ টানা কয়েকদিনের অসহ্য গরম আর সূর্যের প্রখর তাপে পুড়ছে যশোর। জনজীবন যখন হাঁসফাঁস করছে, ঠিক তখনই আশার আলো দেখাচ্ছে আবহাওয়া অফিস। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যা থেকে রাতের মধ্যে যশোর ও আশপাশের জেলাগুলোতে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এই বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে এবং গরমের তীব্রতা প্রশমিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এর ফলে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের মধ্যে দিনের তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে, যা গত কয়েকদিনের তুলনায় বেশ স্বস্তিদায়ক। বৃষ্টি যত বাড়বে, তাপমাত্রা তত কমতে থাকবে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।

বুধবার (১১ জুন) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই মৌসুমে মোটেও স্বাভাবিক নয়। সকাল থেকেই সূর্যের তীব্র তাপে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে। দুপুর ৩টায়ও তাপমাত্রা ছিল ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি। রোদের তেজের কারণে রাস্তাঘাট ও বাজারে লোকসমাগম তুলনামূলকভাবে কম দেখা গেছে। প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই বাইরে বের হচ্ছেন না। ব্যবসায়ী ও দিনমজুরদের মধ্যে গরম নিয়ে অসন্তোষ স্পষ্ট।

শহরের মুজিব সড়ক এলাকায় কয়েকজন পথচারী জানান, কিছুদিন আগেও যশোরে প্রচুর বৃষ্টিপাত ছিল, যা জ্যৈষ্ঠ মাসে বিরল। অথচ জ্যৈষ্ঠের বিদায়বেলায় প্রকৃতি এখন তীব্র খরতাপে পুড়ছে। রিকশাচালক সোলায়মান হোসেন বলেন, ‘রোদে বের হতে ভয় লাগছে। প্রতিটি বাড়িতে মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। আমার বাড়িতেও প্রায় সকলেই জ্বরে আক্রান্ত। তারপরও জীবিকার তাগিদে বের হতে হচ্ছে।’

আরেক রিকশাচালক নজরুল ইসলাম যোগ করেন, ‘যখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে ছিল, তখনও এত কষ্ট হয়নি। জ্যৈষ্ঠের ভরদুপুরের এ প্রখর রোদ সহ্য করা যাচ্ছে না। একটু বাইরে থাকলেই অসুস্থ হয়ে পড়ছি, তাই সকাল সকাল বাড়ি চলে যাব বলে মনে করছি।’

ঈদুল আজহার পর বিভিন্ন হাসপাতালে ডিহাইড্রেশনের উপসর্গ নিয়ে বেশ কিছু রোগী ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গরমের মাঝে ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি ও জ্বরের প্রকোপও বেড়েছে। এ অবস্থায় সবার একটাই প্রত্যাশা দ্রুত বৃষ্টি ঝরিয়ে প্রকৃতির তাপপ্রবাহ কমে আসুক।