মফিজুল ইসলাম, শৈলকুপা( ঝিনাইদহ)॥ শৈলকুপা উপজেলায় খুনোখুনি ক্যাইজা আর হানাহানিতে বিভিন্ন সময় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে অন্যতম হলো ধারালো রামদা। তবে ছোট্ট শিশু সেইসব অস্ত্র নিয়ে রাস্তা দিয়ে ছুটে যাচ্ছে সামনের দিকে। আবার কেউ দেশীয় এই অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছে । অথচ শিশুটির হাতে থাকার কথা ছিল বই খাতা কলম। স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন ছবিগুলো ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে। ছবিতে দেখা যায়- একটি শিশু রামদা হাতে সামনে ছুটে চলছে। আরেক শিশু রামদা হাতে দাঁড়িয়ে আছে ।
স্যোশাল মিডিয়ায় অবুঝ শিশুর হাতে অস্ত্রসহ এমন ছবি দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। সহ সাধারণ মানুষ।
শৈলকুপা পাবলিক হল ও লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক স্বপন বাগচী জানান, যদি ক্রিয়েট করে বা পরিকল্পিতভাবে শিশুর হাতে অস্ত্র তুলে ছবি করে কেউ স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় তবে প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না।
শৈলকুপা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী শৈলকুপা উপেজলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন অরণ্য জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শৈলকুপার অনেক ফেসবুক ইউজারের পোস্টে ছবিটি দেখতে পান। তিনি বলেন, এটা সত্যি হলে বুঝতে হবে শৈলকুপায় চরমভাবে সামাজিক অবক্ষয় ঘটে চলেছে। যার প্রমাণ শিশুর হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া। তবে তিনি মনে করেন কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে শিশুর হাতে এভাবে দেশীয় অস্ত্র তুলে দিয়ে ছবি তুলে ফেসবুকে ছেড়ে দিতে পারে।
শৈলকুপা প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহিন আক্তার পলাশ বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে প্রায় একই রকম ছবি তিনি ফেসবুকে দেখেছেন।
এ ছবি প্রসঙ্গে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, ছবিটি তার নজরে এসেছে। তবে কোনো মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটি ছড়িয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বিষয়টির খোঁজ খবর করবেন বলে জানান।
শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদী ইসলাম বলেন, স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুকে শিশুর হাতে দেশীয় অস্ত্রসহ ছবিটি তার নজরে এসেছে। তবে কে কোথা থেকে ছেড়েছে তার বিস্তারিত জানতে পারেননি। তিনি বলেন, এলাকার ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতেও কোনো মহল এটি করতে পারে।