আ.লীগ নেতা শাহারুলের বিরুদ্ধে কানাডা প্রবাসীর ২০ কোটি টাকার জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে কানাডা প্রবাসীর ৩৫ শতক জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকালে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কানাডা প্রবাসী এবি জাকারিয়া মোহাম্মদ। তিনি দাবি করেন দখল চেষ্টাকারীরা ইতোমধ্যে তার ২০ কোটি টাকা মূল্যের জমির প্রাচীর ভেঙে বালি ফেলেছে। এখন তারা বাড়ি উচ্ছেদসহ হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। তবে এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম ন্যূনতম জড়িত নন বলে দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী এ বি জাকারিয়া আরো জানান, তার পিতা ১৯৬৪ সালে মৃত আব্দুল জব্বার গাজী শহরের কারবালা এলাকায় ৩৫ শতক জমি (২৫৯ দাগে) ক্রয় করেন। সেই থেকে ওই জমির খাজনা, নামপত্তনসহ সব রেকর্ড তাদের নামে। ওই জমিতে সোনালি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে একতলা বাড়ি নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কানাডায় ও পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় অবস্থান করছেন। যে কারণে বাড়িটি ভাড়া দেওয়া। সেখানে একটি প্রি-ক্যাডেট স্কুল পরিচালিত হয়।
২০২২ সালের শেষের দিকে জনৈক বখতিয়ার ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম ভুয়া দলিল তৈরি করে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনালে মামলা করে একতরফা রায় নেন। বিষয়টি জানার পর হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন করলে রায়ের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ জারি হয়। একইসাথে স্পেশাল ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালকে পুনরায় তা দেখার জন্যে আদেশ দেয়। এ অবস্থায় বখতিয়ার ও শাহারুল জোর করে বাড়ির সীমানা ভেঙে মাটি ভরাট করে ফেলেন। এ ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, বখতিয়ার ও শাহারুলের সাথে স্থানীয় আব্দার হোসেন, শেখ শামছুর রহমান, আবু মুসা মধু ও জাহিদুল ইসলাম ডালিম এ দখল চেষ্টার সাথে জড়িত। এখন তারা একতলা বাড়িটি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। এ অবস্থায় নিরাপত্তার পাশাপাশি জমির দখল অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় আরবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার সামান্যতম সত্যতা নেই। যারা অভিযোগ করছেন তাদের সাথে আমার কখনও কথা হয়েছে বলে জানা নেই। তিনি বলেন, আমার জানামতে শহরের খালধার রোড এলাকার শেখ শামছুর রহমান ও বখতিয়ার নামে দুই ব্যক্তির সাথে ওই জমির মালিকানা নিয়ে জটিলতা রয়েছে। এ বিষয়ে উভয়পক্ষই আদালতে মামলা করেছেন। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। অথচ এমন একটি ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে এ অপপ্রচারের পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে বলে তিনি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ বি জাকারিয়া মোহাম্মদের সাথে তার ছোটভাই গণমাধ্যমকর্মী শিবলী নোমান উপস্থিত ছিলেন।