মনিরামপুরে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের

0

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর (যশোর) ॥ মনিরামপুরে উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে নির্বাচনে পরাজিত মোটরসাইকেল প্রতীকের শতাধিক কর্মী সমর্থকের ওপর হামলা, মারধর, বাড়িঘর ও দলীয় অফিস ভাঙচুরসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ইয়াকুব আলীর উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন এ অভিযোগ করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সাবেক দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য ছাড়াও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সন্দীপ ঘোষ, কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচনে পরাজিত মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ফারুক হোসেন অভিযোগ করেন, সাবেক স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে বেসামাল হয়ে পড়েন। ফলে ৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে আমজাদ হোসেন লাভলুকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে স্বপন ভট্টাচার্য্য প্রতিশোধের নেশায় মত্ত হয়ে ওঠেন। নির্বাচনের পর থেকে এ পর্যন্ত স্বপন ভট্টাচার্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলুর নেতৃত্বে তার মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী আওয়ামী লীগ নেতা হাশেম আলী, আনিচুর রহমান, জুয়েল হোসেন, মিজানুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, আছাদুল হকসহ শতাধিক নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর,বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকই এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কাশিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুর রহমান ও তার পরিবারকে একের পর এক জীবননাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে ২৫ জন নির্যাতিত কর্মীকে হাজির করা হয়।
ফারুক হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে দলীয় কার্যালয়টি দখল করে তালা মেরে রেখেছেন। গত ২৪ মে মনোহরপুরে সংবর্ধনা শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু ও তার কর্মী সমর্থকরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সবুরের কাছ থেকে দলীয় কার্যালয়ের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদ সদস্য ইয়াকুব আলীর ছবিসহ আসবাপত্র ভাঙচুর করে তার দায় আমাদের ওপর চাপাচ্ছে। আর এসব ঘটনায় আসামিদের নাম উল্লেখসহ থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য এমপি ইয়াকুব আলী অভিযোগ করেন, সাবেক স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে বেসামাল হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলুকে সাথে নিয়ে অপরাজনীতি করে চলেছেন। তিনি এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উল্লেখ্য নবাগত উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য গত ৩০ মে সংবাদ সম্মেলনে সংসদ সদস্য ইয়াকুব আলী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত নৌকার কর্মী সমর্থকদের মারধর, বাড়িঘর ভাঙচুর ও ঘের দখলসহ সন্ত্রাসী কর্মকা-ের ।