মনিরামপুরে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি

0

 

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর(যশোর)॥ রমজানের ছুটিতে যশোরের মনিরামপুরে গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজে নির্বাচনী পরীক্ষায় নকলের অভিযোগে উত্তরপত্র(খাতা) কেড়ে নেওয়ায় সুইসাইড নোট লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় প্রশাসনসহ এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে লোকসমাজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।  সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। যশোর জেলা শিক্ষা অফিসারের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিল দ্বাদশ শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা গত ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার। কিন্তু সরকারের সে নির্দেশনা মানেন নি গোপালপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম। বরং সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যখন রমজানের ছুটি শুরু হয়েছে তখন গত শনিবার(৩০ মার্চ) থেকে দ্বাদশ শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হয় গোপালপুর কলেজে। এ দিন পরীক্ষা নেওয়া হয় ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের। পরীক্ষায় নকল করার দায়ে সাবিনা খাতুন নামের ওই পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র(খাতা) কেড়ে নেন কক্ষ পরিদর্শক সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ইসরাইল হোসেন। দেড়ঘন্টা পর উত্তরপত্র পুনরায় তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে সাবিনা বাড়িতে গিয়ে অভিমানে ঘরের মধ্যে নিজ খাতায় সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেন। ছাত্রী সাবিনা খাতুন উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের আবদুল জলিলের মেয়ে।
সাবিনার আত্মহত্যার ঘটনায় দোষারোপ করে কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিমসহ সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবিতে রোববার শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে কলেজের আসবাপত্র ভাংচুর চালায়। অবশ্য এ ঘটনার পর থেকে পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক প্রফেসর শেখ হারুন অর রশিদ বিষয়টি তদন্তের জন্যে যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার ও একাডেমিক সুপারভাইজার মাসুদ হোসেন।