তিন সদস্যের পদ বাতিল করায় মোংলা বন্দর সিবিএ নির্বাচন নিয়ে সংশয়

0

মোংলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা ॥ আগামী ৯ মার্চ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের শ্রমিক-কর্মচারী সংঘের (সিবিএ) দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। এরই মধ্যে হঠাৎ করে সাবেক দুই নেতাসহ ৩ জনের সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। ফলে খুলনাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম এ সিবিএ সংগঠনটির নির্বাচনী প্রক্রিয়া অনেকটা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুয়ায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
সিবিএ সূত্র জানায়, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে এল,ডি,এ কাম-টাইপিস্ট পদে এসএম ফিরোজ ও মোশারফ হোসেন এবং দপ্তরি পদে আকিচ আলী যোগদান করেন। ইতঃপূর্বে বিভিন্ন সময় এস এম ফিরোজ ও আকিচ আলী কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রাণাধীন সিবিএ সংগঠনের বিভিন্ন পদে নির্বাচন ও শ্রমিক কর্মচারীদের নেতৃত্বও দিয়েছেন। পরবর্তিতে এ তিনজন ২ বছর আগে পর্যায়ক্রমে পদোন্নতি পেয়ে দুজন জুনিয়র কর্মকর্তা ও অপরজন সহকারী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন হন।
কর্মচারী থেকে কর্মকর্তা হওয়ায় গত ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি সিবিএর সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম ফিরোজ, সাবেক দপ্তর সম্পাদকআকিচ আলী ও অপর পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেনের সংগঠন থেকে সাধারণ সদস্য পদ বাতিল করা হয়। এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ সংগঠনটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। আর গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় নাম ওঠে ৭৬৬ জন কর্মচারীর। এ তালিকায় রহস্যজনকভাবে এক বছর আগে বাতিল হওয়া (পদোন্নিতি পাওয়া) ওই তিন কর্মকর্তার নাম থাকায় সংগঠনের ৮০ জন সদস্য নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে গণস্বাক্ষরিত লিখিত আবেদনে আপত্তি জানিয়ে ওই কর্মকর্তাদের নাম বাতিলের দাবি জানান। এ ব্যাপারে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে নির্বাচন কমিটি জানায়।
এ দিকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সিবিএ সাধারণ সম্পাদক কাজী খোরশেদ আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জুনিয়র তিন কর্মকর্তার সদস্য পদ বাতিলের নোটিশ জারি করেন। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও খুলনা শ্রম পরিচালকের কার্যালয়। এ প্রসঙ্গে সিবিএ সাধারণ সম্পাদক কাজী খোরশেদ আলম জানান, বিগত প্রায় দু বছর আগে কর্মচারী থেকে কর্মকর্তায় পদোন্নতি হওয়ায় কর্মচারীদের এ সংগঠন হতে সাধারণ সদস্য বাতিল করা হয়। তবে কি করে প্রাথমিক ভোটার তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তা তাদের বোধগম্য নয়।
এ প্রসঙ্গে সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত জুনিয়র কর্মকর্তা এস এম ফিরোজ বলেন, সংঘের সদস্য পদ বাতিলের কোনো নোটিশ হাতে পাননি। তবে বিভিন্ন সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে এ বিষয়টি তার নজরে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, ভোটার তালিকায় তারা অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ সভার ভোটে সিদ্ধান্ত হবে। এ ভোটে তিনি জিতলে সিবিএর আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করবেন।