ইবি শিক্ষার্থীকে গলাটিপে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

0

ইবি সংবাদদাতা ॥ বাসে সিট ধরাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে গলাটিপে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শনিবার প্রক্টরের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। আবেদনপত্রে তিনি বলেন, আমার মনে হয়েছিল আমি আর ৯/১০ সেকেন্ড থাকলে মারা যেতাম। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী হলেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রতন রায় ও রিহাব রেদওয়ান।
ভুক্তভোগী জানান, ‘গত ২২ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া শহরে যাওয়ার জন্য দুপুর তিনটার বাসে উঠি। আমার বন্ধু আমার জন্য দুইটা সিট ধরে। আমি একটা সিটে বসলাম অন্য সিটটিতে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রতন রায়কে বসতে দেই। কিছুক্ষণ পরে সে নিচে গিয়ে কয়েকজন বন্ধু/বান্ধবী নিয়ে আসে এবং আমাকে বলে ওপাশে চাপেন। আমি বলি অন্য সিটে যেতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে জোরাজোরি করে। একপর্যায়ে তারা আমাকে বলে ওই তোর সেশন কত রে? আমি বলি সেশন কেন ভাই পুরো পরিচয় দিব? ততক্ষণাৎ সে আচমকা আমার গলাটিপে ধরে। তার সাথে তার বন্ধু রিহাব রেদওয়ান আমার চোখে আঙ্গুল ঢুকায় দেয়। আমি হাত সরানোর চেষ্টা করছিরাম কিন্তু ওরা কিছুতেই ছাড়ছিল না পরে আমি সিট থেকে উঠে গেলাম তারপরেও ছাড়ে নাই। পরে আমার কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। বাসের সবাই চিল্লাপাল্লা শুরু করে তারা আমাকে ছাড়িয়ে নেই। আমার মনে হয়েছিল আমি আর ৯/১০ সেকেন্ড থাকলে মারা যেতাম।
অভিযুক্ত রতন রায় ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, বাসে সিটে বসা নিয়ে একজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। তবে সে যে অভিযোগ দিয়েছে সেটা মিথ্যা। আমি ওই ছেলের গলাটিপে ধরিনি। সিটে বসা নিয়ে আমার সাথে বেয়াদবি করায় আমার বন্ধু রেদওয়ান ওর শার্ট ধরে টান দিয়েছিল। পরে সে বাসের উপরে চলে গেলে ঘটনা মীমাংসা হয়ে যায়।
আরেক অভিযুক্ত রিহাব রেদওয়ান বলেন, সিটে বসা নিয়ে বেয়াদবি করায় রতন উচ্চস্বরে সেশন জানতে চাইলে ওই ছেলে রতন কে হাত দিয়ে সরিয়ে দেয়। এতে এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ওই ছেলে ওখান থেকে উঠে বাসের দ্বিতীয় তলায় চলে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ক্যাম্পাসের সার্বিক বিষয়ে আজ একটি মিটিং আছে। সেখানে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।