পাখির জন্যে ভালবাসা

0

আসিফ কাজল, ঝিনাইদহ॥ ভোরের আলো ফোটার আগেই হাজারো শালিকের কিচির মিচির শব্দে মুখরিত এলাকা। মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত পাখিরা। কোলাহলমুখর বাজারে বিভিন্ন দোকানের টিনের চালে, গাছের ডালে খাবারের আশায় বসে থাকে তারা। পাখিদের কলতানে চারপাশে ভিন্ন রকমের আমেজ তৈরি হয়। খাবারের জন্যে তাদের যত অপেক্ষা। পাখিদের অপেক্ষার অবসান ঘটে স্থানীয় জয়ন্ত ঘোষের হোটেল খুললে। এই হোটেল থেকে প্রতিদিন সকালে পাখিদের খাবার দেওয়া হয়। খাবার দিতে দিতে পাখিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছেন হোটের মালিক জয়ন্ত ঘোষ। হোটেল মালিক জয়ন্ত ঘোষ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ বাজারের মিলন ঘোষের ছেলে। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে হাজারো পাখিকে খাবার দেওয়া হয় এই হোটেল থেকে। জয়ন্ত ঘোষ খাবার নিয়ে বাইরে বের হওয়ার সাথে সাথে গাড়াগঞ্জ বাজারের আশপাশের গাছ, ছাদ থেকে হাজারো পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে মাটিতে নেমে আসে। এ সময় পাখির খাওয়া দেখতে পথচারিরাও দাঁড়িয়ে যান।
পাখি প্রেমী জয়ন্ত জানান, তার হোটেলে বেচে যাওয়া ভাত, পরোটা, রুটি, পুরি কেটে পাখিদের দেওয়া হয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ সব খাবার খায় পাখিরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার হারিয়ে যায় হাজারো শালিক।
গাড়াগঞ্জের ব্যবসয়ী কাজল জোয়ারদার জানান, পাখিকে তিনি ভালোবাসেন বলেই পাখিগুলো এখানে ছুটে আসে। এখানকার মানুষ সবাই পাখিভক্ত। প্রায় ১৫/২০ বছর ধরে পাখিগুলো এখানে খাবার খায়। শুধু শালিক পাখি না, এখানে কাক, বাবুই ও চড়ুইসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি আসে। বাজারের মানুষ পাখিগুলোকে অনেক ভালোবাসেন।
জয়ন্ত ঘোষ জানান, আমার পিতা ও চাচারা ২০ বছরেরও বেশি সময় পাখির খেদমত করে আসছেন। এখন আমি করছি। তিনি বলেন, হোটেলে সারাদিন বেচাকেনা শেষে রাতে যে খাবার বেচে থাকে সেগুলো কেটে পাখির খাবারের জন্যে সকালে প্রস্তুত করে রাখি।