ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখাতে শ্রম আইনের অপব্যবহার হতে পারে: যুক্তরাষ্ট্র

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ শ্রম আইন ও দুর্নীতি দমন আইনের অপব্যবহারের ফলে বাংলাদেশে আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকম ভবনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এমন মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে এই ব্রিফিং হয়।
ব্রিফিংয়ে মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘গত সোমবার গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে ২০ জনের একটি দল নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের দপ্তরের দখল নিয়েছে। আপনি জানেন, বাংলাদেশে একপক্ষীয় সংসদ, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম, দুর্নীতি দমন কমিশন—সবকিছুর কার্যক্রম বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর এখন গ্রামীণের মতো প্রতিষ্ঠানও। এ পরিস্থিতিতে আপনার মতামত কী?’
জবাবে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। এর মধ্যে শ্রম আইনে করা মামলাটি অস্বাভাবিক গতিতে বিচার করা হয়েছে, যা আমাদের নজরে এসেছে। অন্য একটি মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযোগপত্র দিয়েছে। এমন ঘটনায় বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনাও হয়েছে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘অন্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আমরাও এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছি, ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশে এসব মামলায় শ্রম আইনের অপব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে।’
আশঙ্কা প্রকাশ করে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘শ্রম ও দুর্নীতি দমন আইনের অপব্যবহার বাংলাদেশে আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পথকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলেও আমাদের উদ্বেগ রয়েছে।’
বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ম্যাথু মিলারের আহ্বান, ‘আপিল প্রক্রিয়া চলমান আছে। সুতরাং ড. ইউনূসের মামলার ক্ষেত্রে একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করছি।’