পাইকগাছায় তরমুজ চাষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

0

এইচএম শফিউল ইসলাম,কপিলমুনি (খুলনা) ॥ খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় চলতি মৌসুমে তরমুজের চাষ বাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। উপকূল এলাকার চারপাশে লবণ পানি, বেড়িবাঁধের মধ্যে মিষ্টি পানির আঁধার তৈরি করে পাইকগাছার গড়ুইখালী ও দেলুটি ইউনিয়নে তরমুজ চাষে সফল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কেউ কেউ শখের বসে তরমুজের ক্ষেত করতে গিয়ে এখন তারা পেশা হিসেবে তা বেছে নিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর তরমুজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১শ হেক্টর। তবে আবাদ হবে ১ হাজার ৬ শ ৫০ হেক্টর জমিতে। পাইকগাছায় ১০টি ইউনিয়ন মধ্যে ২টি ইউনিয়নে তরমুজ চাষ হবে। এর মধ্যে গড়ুইখালীতে সাড়ে ৫শ হেক্টর ও দেলুটি ইউনিয়নে ১ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়। সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে দেলুটি ইউনিয়নে। উপকূলের লবণ পানির এলাকায় গড়ুইখালী ও দেলুটি ইউনিয়ন। গড়ুইখালী ইউনিয়নের ঘোষখালী নদী ও দেলুটি ইউনিয়নের ডিহিবুড়া খাল খননে বৃষ্টির (মিষ্টি) পানি সংরক্ষণ করে তরমুজের চাষ করা হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজ ফলন ভালো হবে। তবে এবার বাজার দাম ভালো পাওয়ার আশায় কৃষকেরা অগ্রিম তরমুজ চাষ শুরু করেছেন। এতে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হবেন কৃষকরা। গড়ুইখালীতে সাড়ে ৫শ হেক্টর ও দেলুটি ইউনিয়নে ১ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪০ শতাংশ তরমুজ ক্ষেতে বীজ বপন হয়ে গেছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, গত বছরে তরমুজ চাষে আর্থিকভাবে লোকসান হলেও এবার লাভের মুখ দেখবেন চাষিরা। দেলুটি ইউনিয়নের লোচন সরকার বলেন, আমি ৫ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হবে। দেলুটির আমিরুল ইসলাম ও সুজন গাজী জানান, আমরা বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ করছি। প্রতি বিঘা তরমুজ ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছি। গড়ুইখালী ইউনিয়নের কানাখালী গ্রামের বিজন কুমার মন্ডল বলেন, আমি চার বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আমার জমিতে খরচ বাদে দেড় লাখ টাকা লাভ থাকবে বলে আশা করছি।
এ বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হবে। কারণ বর্ষা ভালো হয়েছে। তবে মিষ্টি পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় তরমুজ চাষে সমস্যা হয়ে থাকে প্রতিবারই। এসব এলাকায় খাল খনন করে মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করতে পারলে তরমুজের চাষ আরও বাড়ানো যেত।