কেরু চিনিকলের আখ চাষের জমি ইজারা দেওয়া হলেও কার্যাদেশ না দেওয়ায় দেড় কোটি টাকা লোকসানের শঙ্কা

0

রিফাত রহমান,চুয়াডাঙ্গা ॥ চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের ৮টি কৃষি খামারের প্রায় সোয়া তিন শ একর জমি আখ চাষের জন্য ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তে কালক্ষেপণে ১ কোটি ৩২ হাজার টাকা লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। জমি ইজারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দর্শনা চিনিকল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বরাবর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানোর কথা বললেও স্বয়ং চেয়ারম্যান সেটা জানেন না বলে জানিয়েছেন।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকল কার্যালয় থেকে জানা যায়, ওই চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ইউসুফ আলী স্বাক্ষরিত প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে মুড়ি আখ চাষের জন্য চিনিকলের ৮টি কৃষি খামারের ৩১৩ দশমিক ৫০ একর জমি ইজারা দেওয়ার জন্য ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর দরপত্র আহবান করা হয়।
শতাধিক আগ্রহী ইজারা গ্রহীতা দরপত্র দাখিল করেন। একাধিক সূত্র জানায়, গত বছর একর প্রতি জমি ইজারার জন্য সর্বোচ্চ ২১ থেকে ২৩ হাজার টাকা পর্যন্ত দর উঠেছিল। কিন্তু এবার তা ৩০ থেকে ৪১ হাজার টাকায় ঠেকেছে। দরপত্র যাচাই করে ৩৩ জন দরদাতাকে একর প্রতি ৩২ হাজার টাকা পরিশোধ করে জমি ইজারা দেওয়ার জন্য চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ৪৮ দিন পেরিয়ে সোমবার পর্যন্ত তাদের কোনো কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি বলে জানা যায়। এর ফলে এ প্রতিষ্ঠানের ১ কোটি ৩২ হাজার টাকা লোকসান হবে বলে দরদাতাগণ অভিযোগ করেছে।
এ ব্যাপারে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ইউসুফ আলী বলেন, এটা চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাংলাদশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠিয়েছি। ওখান থেকে নির্দেশনা আসলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম এনডিসি বলেন, কেরু চিনিকলের জমি ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রধান কার্যালয়ে পড়ে রয়েছে তা আমার জানা নেই। টেন্ডার হওয়ার পর কি কারণে জমি ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া থেমে রয়েছে তা আমি দেখবো।