বিজয়ের মাস

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ আজ ৩ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিন মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্বের ইতিহাস শুরু হয় এবং মুক্তির সংগ্রামে নতুন মাত্রা পায়। মুক্তিবাহিনীর সর্বাত্মক হামলায় দিশেহারা হয়ে পড়ে পাক হানাদার বাহিনী। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের দুঃসাহসী আক্রমণের শিকার হয়ে পিছু হটতে থাকে। বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা বিজয়ের বেশে সামনে এগিয়ে যেতে থাকে। তারা একের পর এক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে পাক সেনাদের বিপদে ফেলে দেয়। পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ। দেশের বিভিন্ন স্থানে উড়ছিল বাংলাদেশের পতাকা। এদিন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের জিওসি লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার নেতৃত্বে গঠিত হয় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ড। ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পরিচিত হয় মিত্রবাহিনী নামে। এর ফলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নতুন করে গতি সঞ্চারিত হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বিপুল সাফল্য পাকিস্তানিদের টনক নড়িয়ে দেয়। এ স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সমর্থন বন্ধে অপচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। ১৯৭১ সালের এদিন মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জেড ফোর্স, এস ফোর্স ও কে ফোর্সের সাথে সম্মিলিত বাহিনী হিসেবে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশকে মুক্ত করার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধারা প্রচন্ড লড়াই করে বাংলাদেশের বেশ কিছু এলাকা পাকিস্তানি বাহিনীর দখলমুক্ত করে । সীমান্তে যৌথ বাহিনীর অভিযানের পাশাপাশি অকুতোভয় গেরিলা যোদ্ধারা দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আক্রমণ জোরদার করে। ফলে ক্রমাগত পিছু হটতে থাকে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী। আর এ পরিস্থিতিতে ভীত-সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়ে তাদের দোসররা।