মুড়িকাটা পেঁয়াজের প্রভাব পড়েছে বাজারে : ইলিশ নাগালের বাইরে

0

 

শেখ আব্দুল্লাহ হুসাইন ।। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির মাঝে নতুন দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। এ কারণে অন্য পেঁয়াজের দামে প্রভাব পড়েছে। এদিকে ইলিশ মাছের দাম এখনও নাগালের বাইরে। এ সপ্তাহে দাম কমার পরিবর্তে প্রতি কেজিতে আরও ৪শ টাকা বেড়েছে। তবে সবজির দাম অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। ডিম বিক্রি হচ্ছেও বেশ খানিকটা কম দামে। খামারের মুরগির কেজিতেও ৩০ টাকা কমেছে। গরু ও খাসির মাংসের দাম এ সপ্তাহে অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার যশোরের বড় বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
গত দুদিন ধরে বাজারে নতুন দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। পুষ্ট না হলেও দাম এখনই প্রতি কেজি ৯০ টাকা। আরও সপ্তাহখানেক লাগবে নতুন এই পেঁয়াজের পুষ্ট ও সরবরাহ স্বাভাবিক হতে। তবে পুষ্ট না হলেও মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে ইতোমধ্যে প্রভাব ফেলেছে। এর প্রভাবে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০ টাকা। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১শ টাকা। বিক্রেতারা আশা করছেন নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে অন্যান্য পেঁয়াজের দামও কমে আসবে।
অগ্রহায়ণ মাসেও বাঙালি ইলিশ মাছ কিনতে পারছে না। দাম এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার বড় বাজার মাছবাজারে প্রতি কেজি নদীর ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৮শ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪শ টাকা। গতকাল ৭শ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৪শ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১১শ টাকা। ৩টায় কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮শ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ৬শ টাকা। খুচরা বিক্রেতা এরশাদ আলী জানান, বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম, এ কারণে তাদের বেশি দাম দিয়ে ইলিশ কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তবে,বাজারে সবজির দাম অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। গতকাল শুক্রবার বড় বাজারে মুলো ১৫ টাকা, ফুলকপি ২০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, পটল ২৫ টাকা, শিম ৪০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তাছাড়া আলু ৫০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১০ টাকা, আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়া বড় বাজারে খামারের মুরগি ও ডিমের দাম খানিকটা কমেছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ২৭০ টাকা ও লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৩শ টাকা।
বড় বাজার কাঠেরপুলে ইদানিং কিছু বিক্রেতা গরুর মাংস প্রতিযোগিতামূলক দরে বিক্রি শুরু করেছেন। কেউ বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৬২০ টাকা দরে। আবার কেউ বিক্রি করছেন ৬৫০ টাকা থেকে ৭শ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতা মুজিবর মোল্লা জানান, তিনি ৬৫০ টাকা দিয়ে চর্বিছাড়া এক কেজি মানসম্মত গরুর মাংস কিনেছেন। কাঠেরপুলে দেখা যায় মাংস বিক্রেতারা হাড় ও চর্বিসহ ৬২০ টাকা, চর্বিছাড়া ৬৫০ টাকা, চর্বি ও হাড়ছাড়া ৭শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।