বেনাপোল চেকপোস্টে জাল ভ্রমণকর চক্রের মূল হোতা শামীম আটক

0

কামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর)॥ বেনাপোল আন্তর্জাতিক কাস্টমস চেকপোস্টে জাল বিদেশ ভ্রমণকরের মাধ্যমে সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া চক্রের মূল হোতা শামীমকে আটক করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ভ্রমণকর জাল করে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এলাকা থেকে ট্যাক্স জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, জাল ভ্রমণকর রশিদ ও সোনালী ব্যাংকের সিলসহ শামীমকে আটক করা হয়। এ সময় ভারতগামী ৮জন পাসপোর্ট যাত্রীর কাছ থেকে ৮টি জাল ভ্রমণকর রশিদ জব্দ করা হয়।
শামীম বেনাপোলের সাদিপুর গ্রামের আব্দুল মোমিনের ছেলে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, জাল ভ্রমণ ট্যাক্স ফাঁকির সাথে আরও ৫/৬ জন জড়িত। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রীদের সিরিয়াল ছাড়া পুলিশ ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কাজ দ্রুত করে দেওয়ার টোপ দিয়ে ভ্রমণ ট্যাক্সের টাকা হাতিয়ে নেয় যাত্রীদের কাছ থেকে। আটক শামীমের বিরুদ্ধে এর আগেও ট্যাক্স জালিয়াতির মামলা রয়েছে। মামলায় সে জামিনে রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, আটক শামীম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমণকর জালিয়াতি করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় আরও একটি ট্যাক্স জালিয়াতির মামলা চলমান আছে।
বেনাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের ডাইরেক্টর মো. রেজাউল ইসলাম জানান,দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল চেকপোস্টে বিদেশ ভ্রমণকর জালিয়াতির একটি শক্তিশালী চক্র সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিল। এ ধরনের একটি গোপন সংবাদ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ট্যাক্স জালিয়াতির চক্রের মূল হোতা শামীমকে হাতে নাতে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় ট্যাক্স জালিয়াতি কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম। আটক শামীমকে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেনাপোল চেকপোস্টে অবৈধভাবে গজিয়ে ওঠা প্রায় কম্পিউটার দোকান, মোবাইল ফোনের দোকান ও ফটোকপিসহ বিভিন্ন নামের এন্টারপ্রাইজের দোকানে এসব জাল ভ্রমণকর ও জাল করোনা সার্টিফিকেট তৈরি করা হচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় গড়ে ওঠা এসব প্রতিষ্ঠানে জালিয়াতির ঘটনা ঘটলেও বরাবরই তারা ছিল নীরব।