প্রধানমন্ত্রীর চেকে টাকা না পেয়ে নাতনির চিকিৎসা করতে পারলেন না আ.লীগ নেতা

0

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত নাতনির চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর সাহায্যের আবেদন করেছিলেন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার গাঙ্গুলিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মশিউর রহমান। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার চেকও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চেক হাতে আসতে দেরি হওয়ায় টাকা না পেয়ে চিকিৎসার অভাবে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে তার নাতনি বিলকিস খাতুন (২৭)। গত ৯ নভেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। ২৯ অক্টোবর চেক দেয়া হলেও তা ডেট ওভার হওয়ায় তিনি টাকা তুলতে পারেননি। চেক দেওয়ার সময় একদল সন্ত্রাসী তার কাছ থেকে সাদা কাগজে সই নেয়। এ সময় তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়।
রোববার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী বৃদ্ধ মশিউর রহমান। তিনি রোহিতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি রুহুল আমিন। মৃত বিলকিস খাতুন যশোর সদর উপজেলার মাহিদিয়া গ্রামের মৃত জাকিরের ছেলে। পিতা মারা যাওয়ার পর নানা বাড়িতেই বড় হয় বিলকিস।
সংবাদ সম্মেলনে বৃদ্ধ মশিউর রহমান জানান, তার নাতনি বিলকিস খাতুন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাক্তার দেখিয়ে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে পড়েন তিনি। দরিদ্র হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্যে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিকিৎসা সহায়তার আবেদন করেন। গত ২৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে ৫০ হাজার টাকার চেক যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসেছে বলে এক চিঠিতে আমাকে অবগত করা হয়। এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে চেক গ্রহণের জন্যে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বৃদ্ধ মশিউর রহমান অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঘোরাঘুরি করেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার চেকটি পাননি। যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে চেকটি সংগ্রহ করে দীর্ঘদিন আটকে রাখার কারণে সময়মতো টাকাগুলো না পাওয়ায় অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় নাতনি বিলকিস খাতুন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সংবাদ সম্মেলনে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।