খুলনার ময়ূর নদে হাতির ঝিলের আদলে দৃষ্টিনন্দন সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন

0

জামাল হোসেন, খুলনা॥ খুলনা মহানগরীর গল্লামারী এলাকায় ময়ূর নদের ওপর পাশাপাশি থাকা দুটি সেতু ভেঙে নতুন দুটি সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। এগুলো হবে রাজধানীর হাতির ঝিলের সেতুর মতো দৃষ্টিনন্দন। দেড় বছরের মধ্যে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ জানান, স্টিল আর্চ ডিজাইনের সেতু দুটির প্রতিটির দৈর্ঘ্য হবে ৬৮ দশমিক ৭০ মিটার ও প্রস্থ ১৩ দশমিক ৭০ মিটার। সেতু দুটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা। নদের পানির সীমা থেকে সেতুর উচ্চতা হবে ৫ মিটার। তিনি জানান, প্রথমে বেশি পুরোনো সেতুটি ভেঙে সেখানে নতুন একটির নির্মাণ শুরু হবে। এটির কাজ শেষ হলে পাশাপাশি থাকা অপর সেতুটি ভেঙে নতুন আরেকটি নির্মাণ করা হবে।
খুলনা মহানগরীর অন্যতম প্রবেশদ্বার গল্লামারীতে দৃষ্টিনন্দন সেতু নির্মাণ হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়ূর নদের ওপর রাজধানীর হাতির ঝিলের আদলে দৃষ্টিনন্দন এ সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়।
সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহামুদ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
উদ্বোধনকালে এমপি সালাহউদ্দিন জুয়েল বলেন, খুলনাকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
অনেক কাজ চলমান রয়েছে। হাতির ঝিলের আদলে ময়ূর নদের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হবে।
সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা যায়, যানবাহনের চাপ বাড়ায় খুলনা মহানগরীর প্রবেশদ্বার ময়ূর নদের ওপর থাকা ব্রিটিশ আমলের একটি সেতুর পাশে ২০১৬ সালে আরেকটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়। দ্বিতীয় সেতুটি নির্মাণের পর থেকেই পানির স্তর থেকে সেতুটির উচ্চতা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। পাশাপাশি খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হলে দুটি সেতুই ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ময়ূর নদে পাশাপাশি নতুন ও পুরোনো দুটি সেতু রয়েছে। প্রথমে পুরোনো সেতুটি ভেঙে সেখানে নতুন নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এটির কাজ শেষ হলে পাশাপাশি থাকা অপর সেতুটি ভেঙে নতুন আরেকটি সেতু নির্মাণ করা হবে। দৃষ্টিনন্দন স্টিল আর্চ ডিজাইনের সেতু দুটির প্রতিটির দৈর্ঘ্য হবে ৬৮ দশমিক ৭০ মিটার ও প্রস্থ ১৩ দশমিক ৭০ মিটার। সেতু দুটি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা। নদীর পানির সীমা থেকে সেতুর উচ্চতা হবে ৫ মিটার।