ভুয়া নিয়োগপত্রে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ॥ ঝিনাইদহে সরকারি চাকরি ও স্কুল- মাদ্রাসা সরকারিকরণ করে দেয়ার নামে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। চাকরি প্রত্যাশীদের সরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সই ও চিঠি জাল করে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এ চক্রের বিরুদ্ধে। এদিকে চাকরি দেয়ার নামে গ্রহণ করা টাকা ফেরৎ না দিয়ে চক্রটি উল্টো চাকরি প্রত্যাশী ও স্বজনদের নামে হয়রানিমূলক মামলা করছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়মুখ গ্রামের ওবাইদুল হকের ছেলে আহসান হাবিব সোমবার বিকেলে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আহসান হাবিব লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনিসহ ৮ জনকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কৃষি সম্প্রসারণ এবং বন বিভাগের পিয়ন পদে সরকারি চাকরি দেয়ার জন্যে শৈলকুপা উপজেলার ভগবাননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল হাসান ও পাগলাকানাই এলাকার শফিকুলের মেয়ে প্রাইম ইন্সুরেন্স কোম্পানির বীমা কর্মী শারমিন আক্তার ৩৪ লাখ টাকার চুক্তি করেন। চুক্তি মোতাবেক তাদের দুইজনকে ২০ লাখ টাকা দেয়া হয়। আর চুক্তির বাকি টাকা চাকরিতে যোগদান করার পর দেয়ার কথা।
আহসান হাবিব জানান, তার আপন চাচা আড়মুখ গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে স্কুল শিক্ষক মোজাম্মেল হক চুক্তিপত্রে সই করেন ও তার চাচার নিজের তিনটি ব্ল্যাঙ্ক চেক দেন। কিন্তু প্রতারক আবুল হাসান ও শারমিন আক্তার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করলে আহসান হাবিবসহ কেউ যোগদান করতে পারেন নি।
অভিযোগে দাবি করা হয়, চুক্তি মোতাবেক প্রদান করা ২০ লাখ টাকা, তিনটি চেকের পাতা ও একশ টাকার ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্প ফেরৎ চাইলে ওই দুই প্রতারক তাদের কাছে জমা থাকা ব্ল্যাঙ্ক চেকে ইচ্ছামতো টাকার অংক বসিয়ে আমার চাচা একটি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক মোজাম্মেলের নামে চেক ডিজঅনারের মামলা করেন। আহসান হাবিব লিখিত অভিযোগে আরো জানান, আবুল হাসান ও শারমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে আরো পাঁচজনের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা নিয়েছেন। এছাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের কথা বলে দুই কোটি টাকা ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাঁচটি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করার নামে আরো এক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক আবুল হাসান বলেন, আমি এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। অন্য কেউ এটা করে আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছে। বীমাকর্মী শারমিনের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেন নি।
ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আনন্দ কিশোর সাহা জানান, কোন শিক্ষক এমন প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।