অভয়নগরের চরমপন্থি বিপ্লব হত্যা মামলায় ৩ জনের আমৃত্যু ও ৩ জনের যাবজ্জীবন দণ্ড

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের অভয়নগর উপজেলার চরমপন্থি দলের সদস্য এনামুল হক বিপ্লব হত্যা মামলায় ৬ আসামির মধ্যে তিন জনের আমৃত্যু ও অপর তিন জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাজুল ইসলাম এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পিপি আসাদুজ্জামান।
আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- অভয়নগর উপজেলার বর্ণি গ্রামের মতিয়ার রহমান ফকিরের ছেলে মুরাদ ফকির, একই এলাকার মৃত ছলেমান মোল্লার ছেলে ইরাফ আলী মোল্লা ও মৃত হরমুজ বিশ্বাসের ছেলে আনোয়ার হোসেন বিশ্বাস। একই সাথে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নড়াইল জেলার দীঘিরপাড় গ্রামের খালেক ওরফে মালেক মোল্লার ছেলে আনারুল ইসলাম, হরিশপুর গ্রামের মতলেব মোল্লার ছেলে রুবেল হোসেন মোল্লা ও কালীনগর বিছালী গ্রামের মৃত কওছার ফারাজীর ছেলে আলাই ফারাজী ওরফে আলামিন ফারাজী। একই সাথে তাদের প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। আনারুল ইসলাম ছাড়া অন্য আসামির উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করা হয়। একই সাথে আনারুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।
এছাড়া এ মামলার অপর আসামি অভয়নগর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের আবুল হোসেন গাজীর ছেলে উজ্জল হোসেনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর অভয়নগর উপজেলার বর্ণী গ্রামের চরমপন্থি দলের তৎকালীন সদস্য বিপ্লব তার ছোট মামা শাহাদাৎ মোল্লার সাথে বের হন। এমন সময় আসামিদের সাথে তাদের বাড়ির সামনের রাস্তায় দেখা হয়। এ সময় ছোট মামাকে বিপ্লব বলেন, তিনি প্রতিবেশী ইরাফদের বাড়িতে ঘুমাবেন। এরপর মামা শাহাদৎ বাড়িতে যেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন সকালে পাশের একটি ধান ক্ষেত থেকে পাথালিয়া ক্যাম্প পুলিশ সদস্যরা বিপ্লবের মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় নিহতের মামা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে অভয়নগর থানায় মামলা করেন । মামলাটি তদন্ত করে পাথালিয়া ক্যাম্প। কিন্তু বাদী ওই চার্জশিটের উপর নারাজী আবেদন করেন। সবশেষে ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি অভয়নগর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
উল্লেখ্য, নিহত বিপ্লব ছিলেন চরমপন্থি দলের সক্রিয় সদস্য। এছাড়াও মোটরসাইকেল চোরাই সিন্ডিকেটের হোতা এবং চিহ্নিত চাঁদাবাজ। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশক্রতার জেরে আসামিরা তাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রথমে মারপিট করে গুরুতর জখম করে পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে দেয়।