কাঞ্চনের ৪৯ মামলার বাদী খুঁজতে আপিলে রিভিউ আবেদন

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ রাজধানীর শান্তিনগরের বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে রাজারবাগ পীর সিন্ডিকেটের দায়ের করা ৪৯ মামলার বাদীদের খুঁজতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় একরামুল আহসান কাঞ্চনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এ রিভিউ আবেদন করেন। কাঞ্চনের অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক বশির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে করা তদন্তে কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলার নেপথ্যে রাজারবাগের কথিত পীর দিল্লুর রহমানের নাম উঠে আসে। হাইকোর্টের নির্দেশনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পক্ষ থেকে হাইকোর্টে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছিল। ওই প্রতিবেদন নিয়ে এখনো শুনানি হয়নি। এরপর রিট আবেদনকারী কাঞ্চনের বিরুদ্ধে চলমান সব মামলার বিচার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সিআইডিকে দেওয়া তদন্ত করার আদেশসহ হাইকোর্টের সেই পুরো অন্তর্বর্তীকালীন আদেশটি স্থগিত করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। তার পরে গত ২১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে সিআইডির প্রতিবেদনের ওপর শুনানি করতে গেলে আদালত শুনানি না করে সেটি কার্যতালিকা থেকে বাদ (ডিলিট) দিয়ে আদেশ দেন।
আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এমাদুল হক বসির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও অরবিন্দ কুমার রায়। অপরদিকে পীরের পক্ষে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এম কে রহমান, অ্যাডভোকেট ওয়াজি উল্লাহ ও অ্যাডভোকেট শেখ ওমর শরীফ। অ্যাডভোকেট শেখ ওমর শরীফ বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সিআইডিকে তদন্ত করতে দেওয়ার আদেশসহ হাইকোর্টের সেই পুরো অন্তর্বর্তীকালীন আদেশটি রিট আবেদনকারী কাঞ্চনের বিরুদ্ধে চলমান সব মামলার বিচার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করে দিয়েছেন। পরে গত ২১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা আপিল বিভাগের আদেশের সার্টিফায়েড কপি দাখিল করেন। আপিল বিভাগের আদেশ দেখে তখন হাইকোর্ট মন্তব্য করেন, যেহেতু আবেদনকারীর বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর বিচার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের ওপর আপিল বিভাগ থেকে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে এই রিট মামলায় অন্য কোনো আদেশ দেওয়া সম্ভব নয়। এই বলে হাইকোর্ট মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেন।