যশোরে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ ৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক ১৬৪

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোনো সহিংস ঘটনা না ঘটলেও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এবং যশোর জেলা কমিটির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৮৭ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে  রোববার কোতয়ালি থানায় মামলা করেছে পুলিশ। এদিকে গত দুই দিনে যশোরে ১৬৪ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে যশোর সদর উপজেলা এলাকা থেকে শনিবার রাতে ৬৬ জনকে আটক করা হয়। ঢাকায় সমাবেশ থেকে ফেরার পথে তাদেরকে হামিদপুর এলাকায় ২টি বাস ও ১টি প্রাইভেটকার থেকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া শনিবার ও রোববার জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ৯৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ১৬৪ জনকে গতকাল কথিত নাশকতার মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কোতয়ালি থানায় দায়ের করা মামলার বাদী সদর উপজেলার চাঁনপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আমিনুল ইসলাম। বিএনপি’র কেন্দ্রীয় খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও যশোর জেলার আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ছাড়া এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- যশোর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, নগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মারুফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, কাজী আজম, শফিয়ার রহমান, ইদ্রিস আলী, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা, কোতয়ালি থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান মধু, যুবদল নেতা নাজমুল হোসেন বাবুল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর ও সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি, জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপি নেতা হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, আব্দুস সালাম আজাদ, গোলাম রেজা দুলু, এ কে শরফুদ্দৌলা ছটলু, শহরের শংকরপুরের বাবু, মুড়লি জোড়া মন্দির এলাকার সৌদ আল রশিদ ডেনি, সদর উপজেলার ঘোড়াগাছার সাইদুর রহমান, সাজিয়ালীর মীর মিজান, ঘুরুলিয়া দক্ষিণ পাড়ার শিমুল হোসেন কুদ্দুস, জগন্নাথপুর দক্ষিণ পাড়ার পিন্টু মোল্লা, গাইদগাছি দক্ষিণ পাড়ার জাকির হোসেন, সদুল্যাপুর গ্রামের রুহুল আমিন খান, চাঁচড়া মধ্যপাড়ার রিপন হোসেন, শাহিন মোল্লা, চাঁচড়া পশ্চিম পাড়ার কুতুব উদ্দিন, যোগীপাড়া গ্রামের আব্দুল মতিন শেখ, আব্দুল আহাদ জনি, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম, গাওঘরা গ্রামের আসলাম হোসেন, শহরের খালধার রোড কদমতলার জাকির হোসেন, সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম, কল্যাণদাহ গ্রামের ইমরান হোসেন, নারাঙ্গালী গ্রামের ইদ্রিস আলী, পতেঙ্গালী গ্রামের জামাল হোসেন, রাজারহাটের জিল্লুর রহমান, ভেকুটিয়ার আকতার হোসেন, কিসমত নওয়াপাড়ার কামরুল ইসলাম, নরেন্দ্রপুর গ্রামের হাসান সাঈদ, খাজুরার লোকমান হোসেন, আগ্রাইল গ্রামের শাহিন, সিটি কলেজ পাড়ার রুবেল ইসলাম, বেজপাড়া আনসার ক্যাম্প এলাকার শরিফুল ইসলাম, জলকরের খায়রুজ্জামান, কেশবপুর উপজেলার বাগদহ গ্রামের হুমায়ন কবির পলাশ, মজিদপুর গ্রামের হুমায়ুন কবির, চৌগাছা উপজেলার সলুয়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম, মণিরামপুর উপজেলার খড়িঞ্চা গ্রামের মনিরুল ইসলাম, দেলুয়াবাড়ি গ্রামের আশরাফ, কাশিপুরের রাজমুস শাহাদত, নাজমুল ইসলাম, দূর্গাপুর গ্রামের ইব্রাহিম মোল্লা, তেঁতুলিয়া গ্রামের ইমদাদ, খেদাপাড়ার শামিম রেজা, জুলফিকার আলী, মাছনা গ্রামের আমিনুল ইসলাম, গোপালপুরের কামরুল ইসলাম, মাহমুদকাটি গ্রামের আব্বাস, চাঁদপুরের শাহ আলম, চালকিডাঙ্গার মেহেদী হাসান, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের কামাল হোসেন, সলুয়া গ্রামের শাহিনুর, শ্রীরামপুরের আনারুল ইসলাম, মৌখালীর মোহাম্মদ আলী, কাজী মুছা গ্রামের বিল্লাল, ধামরাইল গ্রামের আব্দুর রহিম, রাড়–লী গ্রামের সাজ্জাদ আহম্মদ, কাজী মুছা গ্রামের আনিচ বিশ্বাস, কৃষ্ণনগর গ্রামের আনারুল ইসলাম, কাশিপুর গ্রামের শাহাদত হোসেন ডাবলু, কাজী মুছা গ্রামের আছাদুর খাঁ, বিষ্ণুপুর গ্রামের ইউনুছ আলী, মৌখালী গ্রামের আব্দুল্লাহ সরদার, চুকনগরের হাবিবুর রহমান, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জেঠুয়া গ্রামের বাবলুর রহমান, আশাশুনি উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের আব্দুল গফ্ফার, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পুরাতন সাতক্ষীরার সাইফুল ইসলাম বাবু, বিনারপুতা গ্রামের মনিরুল ইসলাম, কালিগঞ্জ উপজেলার শিবপুর গ্রামের আকবর হোসেন, বরিশালের হিজলা উপজেলার দর্গাপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন ও খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া গ্রামের আমিনুর ইসলাম।
এছাড়া কোতয়ালি থানার পুলিশ আরও ৮ জনকে আটক করে কথিত নাশকতার পেন্ডিং মামলায় আদালতে সোপর্দ করেছে। আটকরা হলেন- দৈনিক লোকসমাজের বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি খলিলুর রহমান, পলাশ মাহামুদ, খান মোহাম্মদ আলী রাজা, শেখ মেহেদী হাসান, রাকিব হাসান, রুবেল শেখ, তপু রায়হান ও সাদ্দাম হোসেন।
কথিত নাশকতার মামলায় ঝিকরগাছায় আটকরা হলেন- আবু সাঈদ, জিয়াউর রহমান বাবু, তরিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, আশরাফুজ্জামান ওরফে সাগর ও আবুল কাশেম।
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের হাতে আটকরা হলেন- রেজাউল ইসলাম, মজিবর রহমান, ইউসুফ আলী, উসমান গনি, মোনাজাত আলী, আব্দুল মমিন, ওসমান গনি, আব্দুল জব্বার মোড়ল, ইমরান হুসাইন, হাসানুজ্জামান মামুন, ওয়ালিদ হোসেন শিমুল, নুরুন্নবী, মাহাবুবুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, শামছুর রহমান, নুর হোসেন বাবু, আলমগীর হোসেন, সালাউদ্দিন, সামিরুল ইসলাম, হিরা হাওলাদার, হবিবার রহমান, মাহামুদুল হাসান পাপ্পু, আমির হোসাইন দুলাল, দেলোয়ার হোসেন, ইয়াকুব আলী, রিয়াসদ আলী, মোখলেছুর রহমান, রাসেল মিয়া, আব্দুল জলিল মোল্লা ও জামির হোসেন।
মণিরামপুরে আটকরা হলেন- নাজমুল হক লিটন, নজরুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, মুজিবুর রহমান, আফসার আলী, হারুন অর রশিদ, কামাল খান, নাজিম উদ্দিন সরদার, আবুল কাশেম, মতলেব বিশ্বাস, অহিম আলী, হামিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রশিদ শেখ, মতিয়ার রহমান, রুহুল আমিন, আব্দুস সাত্তার, সিরাজুল ইসলাম ও আবু হুরায়রা।
শার্শায় আটকরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক তরফদার, আক্তারুল ইসলাম মোড়ল, আব্দুর রাজ্জাক, মাসুম বিল্লাহ, তৌহিদুর রহমান সেলিম, গোলাম হোসেন, ফরহাদ হোসেন, আব্দুল কাদের খান, তৌহিদুর রহমান, আহাম্মদ আলী, নুর হোসেন।
অভয়নগরে আটকরা হলেন, ফিরোজ ফকির, জলিল ফকির, রহমত বিশ্বাস, জাকির হোসেন, বকতিয়ার ফকির, অজিত ফারাজী, হান্নান মোড়ল, সৈয়দ আলম, জামাল ফকির ও তরিকুল ইসলাম।
চৌগাছায় আটক ব্যক্তি হলেন, মাহবুর রহমান।
বাঘারপাড়ায় আটকরা হলেন, আশরাফুল রহমান, শাহাজাহান মোল্লা, বকুল হোসেন, মোশারফ হোসেন, কবির হোসেন, আহাম্মদ আলী, জাহিদুল ইসলাম, রানা বিশ্বাস ও ছিফাতুল্লাহ।