গাজার জ্বালানি কয়েক দিনের মধ্যে ফুরিয়ে যেতে পারে : জাতিসঙ্ঘ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জ্বালানি কয়েক দিনের মধ্যে ফুরিয়ে যেতে পারে বলে রোববার রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ।
বিদ্যুতের অভাবে গাজা উপত্যকা অন্ধকারে ডুবে গেলে এখানে বসবাসকারী প্রায় ২৩ লাখ মানুষের অনেকের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে গাজা ইসরাইলের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, সাধারণত তারা ইসরাইল থেকে প্রতিদিন ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয় করে। এবং তাদের একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আরো ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আদেশের পর রোববার গাজায় সব ধরনের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল।
সাম্প্রতিক ঘটনার আগেও গাজাবাসী বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছিল।
মিসরের সাথে গাজার সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি, তবে দিনে মাত্র ৪০০ জনকে যাওয়া-আসার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। এই অনুমোদন পেতে অপেক্ষমান গাজাবাসীর তালিকা খালি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।
সাধারণ মানুষের জন্য গাজা থেকে বেরিয়ে আসার সহজ কোনো পথ নেই, অনেক বছর ধরেই। বিশেষ করে যখন থেকে ইসরাইল পাল্টা হামলা শুরু করে, এতে গাজাবাসীর চলাচল আরো কঠিন হয়ে পড়ে।
এখানকার মানুষের জন্য একমাত্র বিকল্প হচ্ছে জাতিসঙ্ঘ পরিচালিত স্কুল। জাতিসঙ্ঘ বলেছে যে এই অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় ইতোমধ্যে এতো মানুষকে ঠাঁই দেয়া হয়েছে যে তাদের মোট ধারণক্ষমতার ৯০ শতাংশ পূর্ণ হয়ে গেছে।
এখন তারা আর নতুন করে বাস্তুচ্যুত মানুষদের আশ্রয় দিতে পারছে না।
তাই মানুষের পালিয়ে যাওয়াও খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ তাদের বাড়ির নিচতলায় বা বেসমেন্টে আশ্রয় নিচ্ছেন, কিন্তু ওই ভবনে যদি হামলা হয় তাহলে ভবনটি তাদের উপর ধসে পড়ে তারা আটকা পড়বেন।
এরইমধ্যে গাজাবাসী স্থানীয় গণমাধ্যমকে ফোন করে সাহায্যের আবেদন করছে। গত রাতে প্রায় ৩০টি পরিবার একটি বেসমেন্টে আটকা পড়েছিল।
সূত্র : বিবিসি