কিছুই ঘটেনি অথচ পুলিশের মামলা, চৌগাছায় বিএনপি ও জামায়াতের ১০ জন আটক

0

চৌগাছা (যশোর)সংবাদদাতা॥ যশোরের চৌগাছা উপজেলার  বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ৩২ নেতা-কর্মীর নামে নাশকতার নতুন দুই মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তার মধ্যে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে ।
এ মামলার ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে চৌগাছা মহেশপুর সড়কের টেঙ্গুরপুর মোড়। পুলিশ মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছে ১০ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬টার সময় বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা টেঙ্গুরপুর মোড়ে জাকির খানের আল্লার দান মার্কেটের সামনে লাঠিসাটা,লোহার রড়,ইটপাটকেল ও ককটেল নিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় তারা যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধিকতা ও তান্ডব চালাতে থাকেন। পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালালে আসামিরা পালিয়ে যেতে থাকে। পুলিশ এ সময় ঘটনাস্থল থেকে উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের স্বরুপদাহ গ্রামের শীষ মোহাম্মেদর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৬), একই গ্রামের মৃত আব্দুল কাদের মাস্টারের ছেলে ইশারুজ্জামান সন্টু(৪৭), খড়িঞ্চা নওদাপাড়া গ্রামের মৃত রবিউল বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল ওহাব ঝন্টু (৪২), খড়িঞ্চা গ্রামের মাঝেরপাড়ার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে শিফউদ্দিন (৪৮) ও বহিলাপোতা গ্রামের মৃত নবিছ উদ্দীন মন্ডলের ছেলে সাবেক মেম্বার শফিকুল ইসলামকে (৪৫) আটক করে।
পুলিশের এ মামলার সাক্ষী করা হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর স¤পাদক ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের স্বরুপদাহ গ্রামের বাসিন্দা মাহবুবুল আলম রিংকু ও একই গ্রামের মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা ফকরুল ইসলামকে।
দায়েরকৃত অপর মামলার এজেহারে ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে চৌগাছা কোটচাঁদপুর সড়কের পাতিবলা বাজারের হাজী শাহাজান আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে। পুলিশ এজাহারে উল্লেখ করেছে এখানে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা কর্মীরা সকাল ৬ টা ৪০ মিনিটের সময় সড়ক বন্ধ করে তান্ডব চালাচ্ছিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ উপজেলার তজবীজপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৯), বড় নিয়ামতপুর গ্রামের মৃত হাশেম গাজীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৭), দক্ষিণ কয়ারপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে হাসানুর রহমান (২৭),স্বরুপপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে জহির হোসেন (৩০), একই গ্রামের নুর পাটোয়ারীর ছেলে আব্দুল হামিদ খাঁকে আটক করে।
এ ব্যাপরে জানতে চাইলে চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল বাহার চৌধুরী দুটি মামলা দায়েরের ঘটনা ও ১০ জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পলাতক আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
পাতিবলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান লাল বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে গায়েবী মামলা করা হয়েছে। আমার ইউনিয়নে চৌগাছা- কোটচাঁদপুর সড়কে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। সবই পুলিশের কল্পনাপ্রসূত ব্যাপার।
হাকিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদুল হাসান বলেন, আমার ইউনিয়নের মানুষকে পুলিশ রাতে তাদের বাড়ি থেকে আটক করে বলছে সড়ক থেকে আটক করেছে- এটা একটা ঢাহা মিথ্যা মামলা।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জহুরুল ইসলাম বলেন,ঘটনার সময় আমাদের কোন কর্মসূচি ছিলনা। সবাইকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে পুলিশ। তারপর মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে। আমি মিথ্যা মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং আটকদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।