রাজগঞ্জে বৃষ্টিতে কৃষকের আগাম চাষের কপিতে পচন

0

ওসমান গণি, রাজগঞ্জ (যশোর)॥ যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার আব্দুল মজিদ নামে এক কৃষক তিন বিঘা জমিতে আগাম বাঁধা ও ফুল কপির চাষ করে প্রায় এক লাখ টাকা লোকসান হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরে এক টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তার ক্ষেতে পানি জমে যায়। এখন পানি সরে যাওয়ার পর কপিতে পচন ধরেছে। বহু পরিচর্যা করেও পচন ঠেকাতে পারেন নি। আব্দুল মজিদ ঝাঁপা ইউনিয়নের দোদাড়িয়া গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মাদের ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আব্দুল মজিদ তার ক্ষেতের মাঝখানে মত বসে আছেন। ক্ষেতের সমস্ত কপি হলুদ বর্ণ হয়ে গেছে। কথা হয় কৃষক মজিদের সাথে। তিনি জানান, তার নিজ ৩ বিঘা জমিতে আগাম টপিকচান জাতের বাঁধা ও ফুল কপির চাষ করেছিলেন। ওই জমিতে তিনি ২০ হাজার কপির চারা রোপণ করেছিলেন। কপিগুলো সবেমাত্র ৫/৬শ গ্রাম ওজন হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনের টাকা বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষেতের সমস্ত কপিতে পোকা লেগে হলুদ বর্ণ হয়ে গেছে।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত ৩ বিঘা জমিতে সার, ওষুধসহ জমি প্রস্তুত করতে এক লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। তবে গাছগুলো যদি বেঁচে থাকতো তবে ৩ লাখ টাকার কপি বিক্রি হতো। এছাড়া ওই গ্রামের নুর মোহাম্মদ, আব্বাস আলী ও আব্দুল লতিফের কপি ক্ষেতেও পচন দেখা দিয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।
মনিরামপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ভগিরথ জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিপাতে ওইসব সবজির ক্ষেতে পানি জমাট বেঁধেছিল। বর্তমানে ক্ষেত শুকিয়ে যাওয়ার পর পরই সবজির ক্ষেতগুলোতে পোকার আক্রমণ ও পচন দেখা দিয়েছে।
কৃষি অফিস জানিয়েছে, এ উপজেলায় আগাম বিভিন্ন উন্নত জাতের ৬ হেক্টর জমিতে বাঁধা কপির চাষ হয়েছে ও ৩ হেক্টর জমিতে ফুলকপির চাষ হয়েছে।