মেডিকেল সেন্টার ভাংচুর ও র‌্যাগিংয়ে জড়িত ইবির তিন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার

0

ইসলামী সংবাদদাত॥ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেডিকেল সেন্টার ভাংচুর ও র‌্যাগিংয়ে জড়িত থাকায় তিন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা শেষে কমিটির সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে, গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিন ওসমানকে র‌্যাগিং ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই আলোকে মঙ্গলবার ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় র‌্যাগিংয়ে ঘটনায় জড়িত দুই শিক্ষার্থীকে স্থায়ী করা হয়েছে। তারা হলেন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের হিশাম নাজির শুভ ও মিজানুর রহমান ইমন। এ ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই ঘটনায় অভিযুক্ত একই বিভাগ ও একই শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিবকে এক বছরের জন্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া গত ১০ জুলাই চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় প্রধান অভিযুক্ত আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিক কাব্যকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার অন্য দুই সহযোগী একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সালমান আজিজ ও আতিক আরমানকে সতর্ক করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও মিটিংয়ে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রেজুলেশনের কাজ সম্পন্ন হলে জড়িতদের অফিশিয়াল চিঠি পাঠানো হবে।
এদিকে শিক্ষার্থী বহিস্কারের ঘটনায় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন বহিস্কৃত শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা৷ এসময় তারা স্থায়ী বহিস্কার বাতিলের দাবি জানায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে তারা তালা খুলে দেয়।
সহকারী প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন বলেন, তালা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরবর্তীতে তাদের দাবি আমরা শুনি। একইসাথে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না, এর পরেও অভিযুক্তদের ডাকা হবে এবং তাদের মতামত জানবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে সাড়ে পাঁচটার দিকে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দেয়।