১১ নেতাকে শোকজ : প্রকট যশোর জেলা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর জেলা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছে। সংগঠনের জেলা পর্যায়ের ১১ নেতাকে কারণ দর্শানো নোটিস (শোকজ) দেওয়ার পর এ বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যশোর জেলা ছাত্রলীগের বিশেষ প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত না থাকায় ২৩ জনের কমিটির ১১ নেতাকে শোকজ করা হয়। তবে শোকজপ্রাপ্ত নেতারা এটিকে গঠণতন্ত্রবিরোধী কর্মকান্ড বলে দাবি করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদের ১১ নেতাকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের লিখিত জবাব দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।
শোকজ পাওয়া ১১ নেতা হলেন- জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন রনি হাওলাদার, কায়েস আহমেদ রিমু, আব্দুর রউফ পিন্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিফাতুজ্জামান রিফাত, আসাদুজ্জামান আসাদ, আশিকুর রহমান হৃদয়, মাসুদ হাসান কৌশিক, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, রাকিবুল আলম ও ফাহমিদ হুদা বিজয়।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে ছাত্রলীগ আগামী ১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ছাত্র সমাবেশ করবে। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে যশোর শহরের গাড়িখানায় জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে। এতে জেলার আট উপজেলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কলেজের ২৮টি ইউনিটের মধ্যে বেশির ভাগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন না জেলা ছাত্রলীগের ১১ জন পদধারী নেতা। সেই ১১ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। শোকজটি ওই দিন রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন জানান, বর্ধিত সভার বিষয়ে তাদের কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি। সভাপতি ও সম্পাদক বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের না জানিয়ে বর্ধিত সভা করে শোকজ দিয়েছেন। তারা দুজন ইচ্ছেমতো সাংগঠনিক কর্মকা- করেন।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান হৃদয় বলেন, আমাদের সাথে তারা দুজন কোনো যোগাযোগ করেননি। তারা শুধুমাত্র প্রেসরিলিজ দিয়েই সংগঠন চালাতে চান। দলের কোনো কর্মসূচি বা মিটিং করতে নির্বাহী কমিটির কোনো মূল্যায়ন নেই। তিনি বলেন, শোকজের কাগজ এখনো হাতে পাইনি। তবে ফেসবুকে দেখেছি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করে পাওয়া না গেলেও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত তরুণ বলেন, বিশেষ প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত না থাকায় ১১ নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। সরাসরি এসে শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।