যশোরে রাস্তার ওপর প্লাকার্ডে চলাচলে বিপত্তি

0

মাসুদ রানা বাবু ॥ যশোর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে মোড়ে সরকার দলীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীদের প্রতিকৃতি টানানো হয়েছে, টানানো হয়েছে প্যানা প্লাকার্ড। বিশাল আকৃতির প্যানা প্লাকার্ডগুলো দেখতে বিলবোর্ডের মত। তাছাড়া দলের বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে শুরু করে জাতীয় দিবসকে কেন্দ্র করে টানানো এ সব প্যানা প্লাকার্ড বছরের পর বছর ধরে একই স্থানে ঝুলছে। যা পথচারীদের চলাচলের ক্ষেত্রে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর বাইরে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানির বিজ্ঞাপন সংবলিত অনেক প্যানা প্লাকার্ড একই ভাবে ঝুলছে। শহরের প্রাণ কেন্দ্র দড়াটানা থেকে শুরু করে,সিভিল কোর্ট মোড়,নিউ মার্কেট খাজুরা বাসস্ট্যান্ড,মনিহার খুলনা বাস স্ট্যান্ড,পালবাড়ি মোড়,চাঁচড়া চেকপোস্ট মোড়সহ শহরের বিভিন্ন সড়কের পাশে প্যানা,প্লাকার্ডের মত বিশাল আকৃতির বিল বোর্ড ঝুলছে।
যশোর শহরের প্রাণ কেন্দ্র দড়াটানা ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পেছনে ফুটপাতের ওপর ঝুলে আছে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বিলবোর্ডের মতো বিশাল আকৃতির প্যানা প্লাকার্ড বোর্ড ঝুলছে। সরেজমিন দেখা যায়,বিশাল আকৃতি প্যানাটি এমন ভাবে ঝুলে আছে তার নিচ দিয়ে পথচারীদের চলাচলের মতো কোনও অবস্থা নেই। পথচারীরা নিচু হয়ে এই স্থান পার হচ্ছেন।
তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে টানানো আছে জেলা আওয়ামী লীগসহ দলের অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ কয়েকজন নেতার ছবি সংবলিত প্যানা প্লাকার্ড। ট্রাফিক বক্সের বিপরীত প্রান্তে ঠিক একই ভাবে ঝুলছে। আবার বাঁশ পুঁতে তার ওপর টানানো আছে অনেক নেতার ছবি সংবলিত প্যানা প্লাকার্ড। আবার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনেও সামান্য উচুতে ঝুলছে তাদের প্যানা প্লাকার্ড। ঠিক একই ভাবে শহরের সিভিল কোর্ট মোড় থেকে নিউমার্কেট খাজুরা বাসস্ট্যান্ড,মনিহার খুলনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যেখানে সেখানে ঝুলছে প্যানা। শহেরর মধ্যে প্রতি সড়কে দুই পাশে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভবনের সাথে সাঁটানো রয়েছে। আবার অনেক স্থানে দেখা গেছে দুই পাশে দুটি বাঁশ পুঁতে তার ওপর বিলবোর্ডের মতো বিশাল আকৃতির প্যানা টানানো আছে। তবে সরকার দলীয় জনপ্রতিনিধি,নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,কোম্পানি,কোচিং সেন্টারেরও বিশাল আকৃতির প্যানা ঝুলছে।
এ বিষয় পৌর মেয়র হায়দা গণি খান পলাশের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। প্যানেল মেয়র মোকসিমুল বারী অপু বলেন,এগুলো লাগানোর ক্ষেত্রে পৌরসভার অনুমতি নেওয়ার কথা থাকলেও কেউ নেয় না। নিয়ম হচ্ছে যে দিবসকে কেন্দ্র করে এগুলো টানানো হবে দিবস শেষ হওয়ার পর সেগুলো অপসারণ করতে হবে। বিষয়টি আমি বিভিন্ন সময় পৌর মেয়রকে অবহিত করে আসছি এগুলো অপসারণ করার জন্য। যেহেতু উনি পৌরসভার সুপ্রিম অথরিটি। কিন্তু ওই বিষয়টি আমলেও নেন না।