মাসুদ রানা বাবু ॥ যশোর জেলা বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে দলের খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন,রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অপমৃত্যু সাধিত হয়েছে । রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ অবশিষ্ট নেই। আজকে তাদের দলের কিছু গুন্ডাবাহিনী আওয়ামী লীগের কথা বলে। তাদের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক চরিত্রের লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কোনরকম রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে আছে, টিকে থাকতে পারবে না। পতনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা.জুবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। শুক্রবার বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন,জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম।
প্রতিবাদ সমাবেশে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, সরকার তাদের প্রহসনের বিচারে একের পর এক মামলায় তারেক রহমানকে সাজা দিয়েও নিশ্চিত হতে পারছে না। কখন না জানি তারেক রহমান তাদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ফেলে। সরকার শয়নে স্বপনে,জাগরণে সেই স্বপ্ন দেখে বলেই তাদের প্রহসনের বিচারে তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়ে নতুন করে আবারও একটি প্রহসনের বিচারে তাকে সাজা দিয়েছে। তার স্ত্রী ডা.জুবাইদা রহমান বাংলাদেশের একটি বনেদি পরিবারের সন্তান। যিনি করোনা মহামারির মধ্যে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশবাসীকে সেবা দিয়েছেন। আজকে সরকার বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নেতৃত্বে থেকে দূরে রাখতে যেভাবে অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার তার কোনও প্রতিপক্ষ রাখতে চায় না বলে ডা.জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে একই ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। একই ভাবে ষড়যন্ত্রের জালে আটকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন,১/১১ এর অসাংবিধানিক সরকার বিরাজনীতিকরণের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ দুটি রাজনৈতিক দলের নেত্রীসহ শীর্ষ নেতাদের দুর্নীতির কাল্পনিক অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। কিন্তু সেই অসাংবিধানিক সরকারের সাথে আঁতাত করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। এরপর আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতাদের বিচারক হিসেবে নিয়োগ করে তাদের মামলাগুলো খারিজ করে দেয়। দ্রুত গতিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলার কার্যক্রম চলতে থাকে। সাম্প্রতি তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর নামেও সেই কাল্পনিক দুর্নীতির মামলার ফরমায়েশি রায় দিয়েছে।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন,সরকার যতই চেষ্টা করুক না কেন কোনও লাভ হবে না। বিদায় তাদের নিতেই হবে । এক দফার আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। তাদের পতন কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড.সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ূব,আবুল হোসেন আজাদ,জেলা কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান খান, এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলু,মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু,নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু,সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন,মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড.শহীদ ইকবাল হোসেন,চৌগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম,বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শামছুর রহমান,ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক  মোর্ত্তজা এলাহী টিপু,কেশবপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মশিয়ার রহমান,অভয়নগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক কাজী গোলাম ডাবলু,জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম,জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সাল,জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন,জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন,সদস্য আব্দুস সালাম আজাদ,মারুফুল ইসলামসহ দলের সকল ইউনিট ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রতিবাদ সমাবেশ পরিচালনা করেন, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাড.হাজী আনিছুর রহমান মুকুল।