মনিরামপুরে যুবক নিহতের ঘটনায় স্ত্রীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

0

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর (যশোর)॥ যশোর পিবিআই অফিসে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজের পরদিন মনিরামপুরের দোদাড়িয়া মোড়ে রাস্তার পাশ থেকে আকতারুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার ১৩ দিনপর নিহত আকতারুলের মা রোকেয়া খাতুন গত বুধবার আদালতে স্ত্রীসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী কাজী ফরিদুল ইসলাম।
মামলার আসামিরা হলেন নিহতের স্ত্রী শামিমা ইয়াসমিন, শাশুড়ি সুফিয়া বেগম, দুই শ্যালক আবুল কালাম আজাদ, আবদুস সালাম ও প্রতিবেশী যুবক সায়ফুল ইসলাম। নিহত আকতারুল ইসলাম(৩৫) ঝিকরগাছা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের চাদআলী গোলদারের ছেলে।
মামলার বাদী নিহতের মা রোকেয়া বেগম জানান, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর তার ছেলে আকতারুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় মনিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে শামিমা নাসরিনের। তাদের ঘরে আড়াই বছরের একটা ছেলে সন্তান আছে। কিন্তু সংসারের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো। ফলে অভিমান করে স্ত্রী শামিমা নাসরিন গত বছর পিতার বাড়িতে চলে আসে। পরে আকতারুল শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে বুঝিয়ে স্ত্রী সন্তানকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
সর্বশেষ গত মার্চ মাসে ঝগড়ার এক পর্যায়ে শামিমা নাসরিন স্বামীর বাড়ি থেকে পুনরায় পিতার বাড়িতে চলে আসেন।
শামিমা নাসরিনের পিতা রুহুল আমিন জানান, আকতারুল তার মেয়েকে কারণে- অকারণে মারপিট করতেন। ফলে নাসরিনের মা সুফিয়া খাতুন বাদি হয়ে গত জুন মাসে আকতারুলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে যশোরের পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। আকতারুলের চাচাত ভাই ফারুক হোসেন জানান, ১২ জুলাই আকতারুল ও তার বড়ভাই নজরুল ইসলাম এবং দুলাভাই আবদুল আজিজ যশোর পিবিআই অফিসে যান হাজিরা দিতে। সেখান থেকে কাজ শেষে রাত নয়টার দিকে আকতারুল একা মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন ১৩ জুলাই ভোরবেলা পুলিশ মনিরামপুরের দিঘিরপাড় মোড়ে রাস্তার পাশ থেকে আকতারুলের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের পরিবার অভিযোগ করেন, আকতারুলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পিতভাবে তাকে অপহরণের পর হত্যা করে।
মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচাজ শেখ মনিরুজ্জামান জানান, আদালতের নির্দেশনা মেনে যথাযথভাবে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।