রাজগঞ্জে চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চার্জার ফ্যানের দাম

0

 

ওসমান গণি. রাজগঞ্জ (যশোর) ॥ প্রচন্ড তাপদাহ আর লোডশেডিংয়ের কারণে হঠাৎ করে চাহিদা বাড়ায় যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে চার্জার ফ্যান ও আইপিএসের দাম বেড়ে গেছে। অসহনীয় এই পরিস্থিতিতে একটু স্বস্তির আশায় অনেকেই ছুটছেন ইলেকট্রনিক্সের দোকানে।
তীব্র লোডশেডিং ও প্রচন্ড গরমের কারণে সম্প্রতি চার্জার ফ্যান, লাইট ও আইপিএসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার এই সুযোগে প্রতিটি চার্জার ফ্যানের দাম বেড়েছে এক থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আইপিএসের ব্যাটারির দামও। প্রতিটি ব্যাটারিতে বেড়েছে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বেড়েছে আইপিএসের দামসহ যাবতীয় ইলেকট্রিক সামগ্রীর দামও। চাহিদার তুলনায় সরবারহ অনেক কম থাকায় এসব পণ্যের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
বর্তমান বাজারে একটি চার্জার ফ্যানের দাম সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা। যা গত তিনমাস আগে দাম ছিল আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। একটি আইপিএসের ব্যাটারির দাম ৩৫ হাজার টাকা। যা গত তিন মাস আগে ছিল ২৫ হাজার টাকা। একটি আইপিএসের দাম ১৫ হাজার টাকা। যা গত তিন মাস আগে ছিল ৮ হাজার টাকা। একটি চার্জার লাইটের দাম ১৫শ টাকা। যা গত তিন মাস আগে ছিল মাত্র ৭শ টাকা। প্রচন্ড গরমের কারণে প্রতিটা ইলেকট্রিক জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
বাজারের ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী আলম জানান, তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেড়ে গেছে। তার দোকানে যা ছিল সবই বিক্রি হয়ে গেছে। অনেকে চার্জার ফ্যান কিনতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। কোম্পানিগুলো সঠিক সময়ে চার্জার ফ্যানসহ যাবতীয় ইলেকট্রিক সামগ্রী সরবরহ না করায় বাজারে একটু সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি দামও একটু বেড়ে গেছে। তবে কোম্পানিগুলোর সরবরহ আগের মত হলেই দাম অনেকটা কমে আসবে বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী।