যশোরে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে অপহরণ ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরে  রোববার (৪ জুন) রাতে বিসিএমসি কলেজের এক ছাত্রকে অপহরণ ও মারধর করে ২৮ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার সাথে জড়িত মারুফ হোসেন ও রাজু রানা নামে দুই জনকে শনাক্তের দাবি করেছেন শোয়াইব হাসান নামে বিসিএমসি কলেজের ওই ছাত্র। অভিযুক্তদের মধ্যে মারুফ হোসেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজু রানা সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে। তবে অভিযুক্ত মারুফ হোসেন তার বিরুদ্ধে করা ছিনতাইয়ের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন।

বিসিএমসি কলেজের ছাত্র শোয়াইব হাসান সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা গ্রামের সরদার হারুন অর রশিদের ছেলে। ছিনতাই ঘটনায় সোমবার (৫ জুন)  তিনি কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে মারুফ হোসেনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শোয়াইব হাসান জানান, রোববার রাত সোয়া ৯টার দিকে তিনি মোটরসাইকেলে শহরের দড়াটানা থেকে খোলাডাঙ্গা গ্রামে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে কারবালা মসজিদের পূর্ব পাশে পৌঁছালে মারুফ হোসেনসহ তার দুই সহযোগী গতিরোধ করেন। এরপর তারা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পাশে গাজীর বাজার এলাকার ফাঁকা মাঠের মধ্যে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর তাকে মারধর, গালিগালাজ এবং ধারালো অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে কাছে থাকা ৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। এবং তার কাছ থেকে মোবাইল ফোনসেটটি নিয়ে তার রকেট অ্যাকাউন্টে থাকা ২৪ হাজার টাকা ০১৯৬৬৯৯২৮৯৯৭ নম্বরের একটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করিয়ে নেন। এছাড়া তারা তার কাছ থেকে ম্যানিব্যাগ ছিনিয়ে নেন। ওই ম্যানিব্যাগের ভেতর ব্যাংকের একটি এটিএম কার্ড ছিলো। তারা তার কাছে এটিএম কার্ডের পিন নম্বর চাইলে তিনি তাদেরকে ভুল নম্বর দেন। এ কারণে ভুল পিন নম্বর ব্যবহার করে তারা টাকা তুলতে গেলে বুথে কার্ড আটকে গিয়েছিলো। এজন্য তারা তার এটিএম কার্ড ব্যবহার করে টাকা তুলতে পারেননি। তিনি বলেন, ছিনতাই ঘটনায় মারুফ হোসেনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করে সোমবার দুপুরে কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, পরে জানতে পেরেছেন মারুফ হোসেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং রাজু রানা সহ-সভাপতি। এবং তাদের সাথে ঝুমঝুমপুর এলাকার রাজু রানা নামে আরও একজন ছিলেন।
এদিকে অভিযুক্তদের একজন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য নয়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাহউদ্দিন কবির পিয়াস জানান, এ ধরনের কোনও ঘটনা তার জানা নেই।
এদিকে শোয়াইব হাসানের করা অভিযোগটি কোতয়ালি থানা থেকে পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই প্রদীপ কুমার রায়কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে লিখিত এই অভিযোগটি এখনো হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন এসআই প্রদীপ কুমার রায়।